ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থীদের


ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলছিল।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। তাতে লেখা হয়েছে, এক উম্মাহ, এক দাবি/ এক জোট হও মুসলিম সেনাবাহিনী; ফিলিস্তিন থেকে আরাকান/ গণহত্যা বন্ধ হোক, আমেরিকা ধ্বংস হোক ইত্যাদি।
এছাড়া তারা ফিলিস্তিনদের পক্ষে এবং বর্বর হামলা বন্ধের দাবিতে স্লোগান দেন। তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে গণহত্যার দায়ে মুছে ফেলার আহ্বানও জানান তারা।
তারা আরও বলেন, আমেরিকার মতো যেসব দেশ এমন গণহত্যা দেখেও নিশ্চুপ, তাদের বয়কট করতে হবে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলো নীরবে গণহত্যার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোকে এককাতারে এসে এ গণহত্যার প্রতিবাদের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারকে মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার এবং বৈশ্বিক ফোরামে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা।
এদিকে, গ্লোবাল স্টাইক ফর গাজা কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে রাজধানীর আফতাবনগরে বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অংশ নিয়েছেন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিতাড়িত করতে মুসলিম উম্মাহকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।