গাজায় গণহত্যা: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা

fec-image

গাজায় গণহত্যা: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা

গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে অবিরাম বোমাবর্ষণে ২১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং অবরুদ্ধ ছিটমহলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) আইসিজেতে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যামূলক। কারণ এসব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি জাতি ও গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস।

আইসিজেকে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। এটি জাতিসংঘের একটি দেওয়ানি আদালত। সদস্যভুক্ত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিরোধের বিচার করে এই আদালত। তবে এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে আলাদা। আইসিসি যুদ্ধাপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল— দুই দেশই দুই আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিওর হাইয়াত এক এক্সবার্তায় বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা যে দাবি করেছে তার বাস্তব ও আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। এটি আদালতকে ঘৃণ্য ও অবমাননাকর উপায়ে শোষণের শামিল।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা করে চলেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ৫৬ হাজার ফিলিস্তিনি।

অন্যদিকে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় তিন মাসের এই যুদ্ধে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন গাজার ৮০ শতাংশ মানুষ। বর্তমানে তারা দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহর কিংবা এর আশপাশে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুতে বসবাস করছেন।

শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় পূর্ণ ইসরায়েলি অবরোধ থাকায় ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ পাচ্ছেন না। রাফাহ সীমান্তপথ দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে শুরু করলে বিপর্যয়কর মানবিক সংকটের কিছুটা লাঘব হয়। তবে তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।

ফিলিস্তিন শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করছে না। ফলে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইসরায়েল, গণহত্যা, গাঁজা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন