ফ্যাসিস্ট হাসিনার গড়া ট্রাইবুনালে তার বিচার করতে হবে
জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্যাহ বলেছেন, মিথ্যা ট্রাইবুনাল গঠন করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিং করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বজলুল হুদাকে নিজের হাতে জবাই করেছে হত্যা করেছে খুনি হাসিনা। তাই তার গড়া ট্রাইবুনালে বাংলার মাটিতেই তার বিচার করতে হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় চৌধুরী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রথম বারের মতো জামায়াত ইসলামীর কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।
গায়ের জোরে ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এমন কোন জনপদ নাই যেখানে জামায়াত কে নির্যাতন করা হয় নাই। অন্যায়ভাবে মানুষ কে হত্যা করে কখনো ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না। জামায়াত কে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই আজ দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। জামাতে ইসলাম ঠিকই বাংলা দেশে রয়েছে।
এসময় বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের পতাকাতলে শামিল হবার আহ্বান জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, পার্বত্য তিনটি জেলাকে যে ভাবে আলেদা করে রাখা হয়েছে, তা চরম বৈষম্য। পাহাড়ে বসবাসরত বাঙ্গালীদের তাদের ন্যায্য হিস্যার দাবি জানা তিনি।
মাটিরাঙ্গা জামায়াতে ইসলামের সভাপতি মো. সামছুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান এবং খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে, বাংলাদেশ সপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আবুল হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ, মাটিরাঙ্গা জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাও: আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. মাইন উদ্দিন, সাবেক সভাপতি আবু আহাম্মদ,গোমতী ইউনিয়নে জামাআতের সভাপতি মো. সালেহ আহাম্মেদ, বেলছড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ, মাটিরাঙ্গা জামায়াতের টিম সদস্য জামাল হোসেন, প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার নায়েবে আমির শেখ আহাম্মদ, কুমিল্লা মহানগর শিবিরের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যডভোকেট ইব্রাহিম মনির,অসংখ্য কর্মী সমর্থক সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।