বাইশারী-বড়বিল সংযোগ সড়কের ব্রীজটি ধসে বেহাল অবস্থায়

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের তদন্ত কেন্দ্র সড়কের কাপ্তাইর শিয়া এলাকার গর্জন ছড়া খালের উপর বাইশারী বড়বিল সংযোগ সড়কের ব্রীজটি ধসে গিয়ে এখন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উক্ত ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করছে। দীর্ঘ ৩ মাস যাবত ব্রীজটি চরম ঝুঁকি অবস্থায় রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা আমানুল হক, নুরুল কবির, আমির হোসন,  মাওলানা মাহবুবুর রহমান সহ অনেকে।

স্থানীয় লোকজনের দাবি ইতি মধ্যে ব্রীজের উপর দিয়ে পার হতে যেয়ে অনেক লোকজন খালে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাইশারী-বড়বিল সীমান্ত এলাকায় গর্জই খালের উপর ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে দীর্ঘ ৪ যুগ আগে। বিগত সময়ে কিছুটা কম ঝুঁকি পুর্ণ থাকলে ও এবছরের ভয়াবহ বন্যায় ব্রীজটি পাহাড়ি ঢলে ধসে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা লক্ষ্য করা যায়।

বাইশারী-বড়বিল সীমান্ত সড়কটি অতিব জনগুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন উক্ত ব্রীজ দিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করে থাকে। ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের অনেক গুলো গ্রামের লোকজনের বসবাস। তাছাড়া রয়েছে, বাজার, তদন্ত কেন্দ্র, ব্যাংক, বীমা, ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন শত শত ছেলে মেয়ে কিশোর কিশোরীদের উক্ত ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের লোকজনের বসবাস। প্রায় ২০টি গ্রামের লোকজনের বসবাস রয়েছে বড়বিল এলাকায়। ব্রীজের বেহাল অবস্থায় হাজারো লোকজন এখন ঝুঁকিনিয়ে পারাপর করতে হচ্ছে। তাছাড়া ব্রিজ ধসে যাওয়ার ফলে বর্তমানে গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় উৎপাদিত পণ্য বাজারে আনতে হয় কাঁধে বহন করে। এতে করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য মাঠেই পছন ধরছে বলে জানালেন কৃষক মো. কালো, মো. হোছন সহ অনেকেই।

ব্রীজটি নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও লাইভসহ অনেক লেখা লেখি করেছে। তারপরও সরকারের নজরে আসেনি বলে অনেকে জানান। স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোছন জানান ব্রীজটি তৎকালীন চেয়ারম্যান নুরুল হাকিমের আমলের নির্মাণ করা হয়েছে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কোন ধরনের মেরামত ও করা হয়নি।

এবিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি বলেন, তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন। ব্রীজটা অতি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিষয়টি তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সাথে সাথে অবহিত করেছেন। ইনশাআল্লাহ অতি সত্তর ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।

স্থানীয়রা ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ করার জন্য পার্বত্যচট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন