বাঘাইছড়িতে দেদারছে চলছে পাহাড় কাটা : নির্বিকার প্রশাসন

1415761_535121169915508_1518861723_n

স্টাফ রিপোর্টার, পার্বত্যনিউজ :

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে চলছে পাহাড় কাটার উৎসব। সেখানে প্রশাসনের সামনেই প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে বাড়ি-ঘর নির্মাণ, রাস্তা তৈরী, নিচু এলাকা ভরাট করাসহ পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাটায়। এসব কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর। এতে করে ভূমিধ্বসের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাঘাইছড়ি ইউনিয়নে রাবার বাগান এলাকা, মারিশ্যা ইউনিয়নের তুলাবান এলাকায় পাহাড় কেটে সাবাড় করছে দুর্বৃত্তরা। কিছু অসাধু অবৈধ ট্রাক্টর মালিক পাহাড় কেটে বিভিন্ন এলাকা নিয়ে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় জমিতে হাল চাষ করার জন্য ৪০/৪৫টি ট্রাক্টর কেনা হয়েছে। কিন্তু এসব ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ না না করে মাটি, বালু ও সংরক্ষিত বন থেকে কাঠ পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এক শ্রেনীর অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী পাহাড় কেটে মাটি পরিবহনের কাজ করেন।

স্থানীয় ট্রাক্টর মালিক মো. শাহ আলম বলেন, এখানে জমিতে হালচাষ করার জন্য ট্রাক্টর আনা হলেও কেউ তা করেনা। সবাই মাটি কেটে বিক্রি করা বা পরিবহনের কাজে নিয়োজিত। তিনি বলেন, এক ট্রাক্টর মাটি থেকে চালক ৭৫ ও শ্রমিক ২৫ টাকা পায়। দৈনিক ১০ থেকে ১৫টি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর নিচু এলাকায় দেওয়া হয়। প্রতি ট্রাক্টরে চার জন শ্রমিক থাকে।

পাহাড় কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মো. মোক্তার হোসেন বলেন, আমরা দিন মজুরি হিসেবে পাহাড় কাটার কাজ করি। সারাদিন মাটি কেটে গাড়িতে ভর্তি করে নির্ধারিত স্থানে নামিয়ে দেওয়া আমাদের কাজ। এতে আমরা শ্রমিক প্রতি দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পাই। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজিজুল হক বলেন, নিচু এলাকাকে বসতবাড়ি নির্মাণের উপযোগী করতে মাটি ফেলতে হচ্ছে। তিনি জানান, প্রতি ট্রাক্টর মাটি ৫০০ টাকা করে কিনে থাকেন তিনি।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী বলেন, পাহাড় কাটা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ উল্লেখ করে কোথায় বা কোন এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পরিবেশ, পার্বত্য নিউজ, পার্বত্যনিউজ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন