বাদির হাত কেটে নিল অপহরণ মামলার আসামি

fec-image

জেল থেকে বের হয়ে বাদির হাত কেটে নিল অপহরণ মামলার আসামি। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের মইয়াদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন মুন্সী (৫০) মইয়াদিয়া গ্রামের মৃত নুর আহমদের ছেলে। সে সদর ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে রেফার করে। কক্সবাজার কারাগার থেকে সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছে অপহরণ মামলার আসামি আলমগীর। ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। বাদিকে হত্যার ছক কষেন তিনি। হত্যা মিশনে কয়েকবার তিনি ব্যর্থও হয়েছেন। সকালে আ’লীগ নেতা আলী হোসেন মুন্সি বাড়ি থেকে বের হন। পেকুয়া বাজারের উদ্দেশে মইয়াদিয়া স্টেশন থেকে মিশুক (মিনি টমটম) গাড়িতে উঠেন। আনছার নামের আরও একজন যাত্রীও ছিল গাড়িতে। পুর্ব থেকে ওতপেতে ছিল আলমগীর।

এ সময় গাড়ি গতিরোধ করে আলমগীর ধারালো কিরিস দিয়ে সিনেমা স্টাইলে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে আলী হোসেন জমিতে লাফ দেন। সেখানেও তাকে কুপিয়ে ডান হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তিনি বীর দর্পে চলে যান। তাকে উদ্ধার করতে কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। জানা গেছে, আলী হোসেন মুন্সীর মেয়ে কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল নাঈমা মুন্নী গত ১২জুলাই অপহরনের শিকার হন। মুন্সী বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা (০৫/২০) দায়ের করেন। আলমগীর ওই মামলার আসামি।

গত দেড় মাস আগে আলমগীরকে জনতা আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করে। সম্প্রতি আলমগীর জেল থেকে জামিনে মুক্ত হন। আলমগীর মইয়াদিয়া এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আলমগীর ও মুন্সী আপন চাচা-ভাতিজা। আলমগীরের শ্যালকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুন্নীর। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে।

আলী হোসেন মুন্সীর পরিবারের দাবি গত তিন মাস আগে মেয়ে অপহরণ হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করতে পারেন নি পুলিশ। অপহরণকারীর মুল হোতা এখনো অধরা রয়েছে। এদিকে আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলার খবরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দুইটি পাম্প মিশিন বসিয়ে পানি সরিয়ে ধানি জমির মাঝে গর্ত থেকে কাটা হাত উদ্ধার করেছে।

এসময় একটি ঘড়ি ও একটি স্বর্নের আংটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, আলমগীর একজন বখাটে ও ইয়াবা আসক্ত। প্রতিনিয়ত সে মাদকাসক্ত থাকেন। এলাকায় চুরি চামারীর সাথে জড়িত। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসি। ১০/১২জনের একটি ইয়াবাখোর সিন্ডিকেট রয়েছে তার। আলমগীর খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীও।

পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিছিন্ন হাত উদ্ধার করার পর তারা চট্টগ্রামে নিয়ে গেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণ, আসামি, মামলার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন