সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

ভাড়াটে খুনি রোহিঙ্গা দিয়ে ভূমিদস্যূতায় মেতেছেন রাজারবাগীরা

fec-image

কক্সবাজারে রাজারবাগ পীরের নাম ভাঙিয়ে ১৫০ একর জমি ভূঁয়া দলিল সৃজন করে দখলে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। শুধু তাই নয়, উক্ত জমিতে ২শ’ থেকে ৩শ’ পরিবারের অসহায় গরীবদের মাথাগোজার ঠাঁই হিসেবে একমাত্র থাকার জায়গা দখল নিতে একের পর এক মিথ্যা মামলা, জাল দলিল সৃজন করে স্বত্ব দাবি, এমনকি ভাড়াটে খুনি রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে সাধারণ মানুষদের এলাকা এবং ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছে।

রবিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী অচিতার বিল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে গ্রামবাসির পক্ষে বায়োবৃদ্ধ জিন্নাত আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন রাজারবাগি পীরের সহচর আনিচুর রহমানসহ মিলে উচিতার বিল মৌজায় প্রায় ২শ’ থেকে ৩শ’ পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জোর করে ১৫০ একর জমি দখল করে রেখেছে। যেখানে তারা ব্রিক ফিল্ডও বানিয়েছে। এখনো তাদের অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

এতে আরও অভিযোগ করা হয় রাজারবাগী পীর ও তার মুরিদ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতারা তাদের গ্রামের তিনশত একর জমি ও ভিটা বাড়ির জায়গা দখল করে নেয়। গ্রামের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গনহারে মামলা দায়ের করে। অনেকেই মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলে হাজত খাটতে হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা সরকারের কাছে এই রাজারবাগী পীরের ভূমিদস্যূতার বিরুদ্ধে প্রতিকার কামনা করেন।

লিখিত বক্তব্যে জিন্নাত আলী অভিযোগ করেন-সাম্প্রতিক সময়ে লামা উপজেলা সাব-রেজিঃ অফিস ও বান্দরবান জেলা রেজিষ্ট্রার অফিসের নাম ব্যবহার করে ২০টি জাল দলিল সৃষ্টির চাঞ্চ্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে এই রাজারবাগি পীরের অনুসারীদের অপকর্মে। এসব হীন অপকর্মে বিক্রেতা ভুয়া, ক্রেতা রোহিঙ্গাদের বানিয়েছে। এই কুকর্মের কাজে চকরিয়ার বাসিন্দা ডুলাহাজার মোসলেম উদ্দিন, মুজিবুল হক, বশির, বনফুর বাজারের লুতফুর রহমান ও মাস্টার বদরুদ্দোজারা জড়িত। তার মতে এরা সবাই রাজারবাগি পীরের অনুসারী বলে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।’

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে লাদেন মৌলভী (আনিসুর রহমান) স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের নাম ব্যবহার করে অমানবিক নির্যাতন করে আসছেন। যেটিকে মানবতা বিরোধী গর্হিত কাজ উল্লেখ করে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে তুলনা করে আক্ষেপ করে জিন্নাত আলী বলেন, ঘরবাড়ি, নির্যাতন থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দারা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলে গত ১৪ অক্টোবর উত্তর বনবিভাগের কর্মিদের দিয়ে মসজিদ, ঘরবাড়ি এবং কবরস্থান পর্যন্ত ভেঙ্গে দেয় অথচ এখানে বনভূমির জায়গা নেই। আমরা যেখানে থাকি সে জায়গা হচ্ছে সরকার বাহাদুরের নামে ১নং খাস খতিয়ান। বয়োবৃদ্ধ জি এ কুতুবী সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আশা করেন ঘটে যাওয়া রাজারবাগি পীরের অনুসারীদের অন্যায়ের বিচার পাবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অচিতার বিল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড ও উপকুলীয় কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেড ৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন