মণিপুরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু, বন্ধ মোবাইল ডেটা

fec-image

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে পাঁচ উপত্যকা জেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পুনরায় চালু হয়েছে। রাজধানী ইম্ফলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার তিন দিন পর সেখানে এই পরিষেবা ফের চালু হলো।

তবে মোবাইল ডেটা এখনও বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেস্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এনই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইম্ফলে বিক্ষোভের কারণে মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতাদেশের তিন দিন পর মণিপুর সরকার পাঁচটি উপত্যকা জেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা আবারও চালু করেছে। তবে মোবাইল ডেটা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।

ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়া পাঁচটি জেলা হচ্ছে- ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং। কথিত “ড্রোন হামলা” এবং পরবর্তীতে এই অঞ্চলে বিক্ষোভ নিয়ে ভুল তথ্য সম্বলিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিস্তার রোধ করার জন্য প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেটের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

মূলত পাঁচ দিনের জন্য নির্ধারিত এই নিষেধাজ্ঞাটি এখন আংশিকভাবে শিথিল করা হয়েছে। তবে মোবাইল ডেটা পরিষেবাগুলো এখনও স্থগিত রয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, উপত্যকায় বসবাসকারী মেইতি সম্প্রদায় এবং পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্যকারী কুকি উপজাতিদের মধ্যে উত্তেজনা গত কয়েক মাস ধরে বেড়েছে। যার ফলে তাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষও হয়েছে। গত ১৬ মাস ধরে চলমান এই সংঘাতের কারণে ২২০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

এছাড়া নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতে অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে মণিপুরে চলমান জাতিগত সংঘাত মোকাবিলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্যদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলসের দু’টি ব্যাটালিয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কয়েকদিন পর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার সহিংসতায় বিধ্বস্ত রাজ্যটিতে সিআরপিএফের ২ হাজার সদস্যের দু’টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এছাড়া ভারতীয় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিআরপিএফের নতুন এই দুটি ইউনিটের সব কোম্পানিকে মণিপুরের বিভিন্ন অংশে ঘাঁটি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। প্রত্যেক ইউনিটে পাঁচ থেকে ছয়টি কোম্পানি রয়েছে। দু’টি ব্যাটালিয়নে সিআরপিএফের প্রায় ২ হাজার জওয়ান ও কর্মকর্তা রয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব সংবাদ, ভারত, সংঘর্ষ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন