মহেশখালীতে নতুন করে সাড়ে ৭ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ


মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীতে আরও সাড়ে সাত হাজার একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ৩ ধারা নোটিশ দিয়েছে জেলা ভূমি হুকুম দখল অফিস। ফলে মহেশখালী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে অধিগ্রহণকৃত জমির পরিমান দাঁড়াবে প্রায় ১৫ হাজার একর। এতে সর্বোচ্চ জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে কালারমারছড়া ও হোয়ানক ইউনিয়ন থেকে। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে মালিকদের মাঝে উদ্বেগ থাকলেও মালিকরা চায় যথা সময়ে জমির ক্ষতিপূরণ পেতে।

নোটিশ দেওয়া সাড়ে ৭ হাজার একর জমির সবই অধিগ্রহণ করা হচ্ছে কালারমারছড়া ইউনিয়নের ৪টি মৌজা থেকে। মৌজার মধ্যে রয়েছে কালিগঞ্জ মৌজা, ঝাপুয়া মৌজা, নলবিলা মৌজা ও ইউনুচখালী মৌজা।

জমির মালিক আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, সরকার চাইলে আমরা জমি দিতে বাধ্য। কিন্তু জমির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে সহজে ক্ষতিপূরণের টাকা মালিকদের দিতে হবে। বর্তমানে যেসব প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এতে অধিকাংশ জমির ক্ষতিপূরণ জমির মালিকরা পায়নি। যার ফলে পেশা হারিয়ে অসংখ্য মানুষ এখন বেকার হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ৩ ধারা নোটিশ দেওয়া জমিতেও যদি একই অবস্থা হয় তখন পুরো উপজেলায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।

নলবিলার মৌজার জমির মালিক লিয়াকত আলী মেম্বার জানিয়েছেন, জমির মালিকরা সুষ্ঠুভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে চাইলেও পারে না। যেভাবে দালালচক্র ও ভূমি অধিগ্রহণ অফিসের কতিপয় কর্মচারী জমির মালিকদের হয়রানি করছেন এতে মালিকরা আতঙ্কিত। আমরা চাই সহজে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইতোমধ্যে মহেশখালীতে দুইটি বিদ্যুৎ প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা অধিকাংশ পায়নি। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভূমি হুকুম দখল অফিসে ঘুরাফেরা করে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ভূমি অধিগ্রহণ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নানা তালবাহানার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের চেক দিতে দীর্ঘসুত্রিতার সৃষ্টি করছেন। যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে আছেন জমির মালিকরা। এরই মধ্যে আরও সাড়ে ৭ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ৩ ধারার নোটিশ দেওয়ায় ওই জমির মালিকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কেউ হয়রানির শিকার হলে তাৎক্ষণিক জানাতে হবে। কোন জমির মালিক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ দৃষ্টি রয়েছে। প্রকৃত জমির মালিকরা অবশ্যই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন