মাটিরাঙ্গায় স্ত্রীর মামলায় স্বামী কারাগারে

মাটিরাঙ্গায় স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় স্বামী মো. সালাউদ্দিনকে (৩৫) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল) আত্মসর্মপন করতে এলে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বাজার এলাকার আব্দুল মতিন ছেলে সালাউদ্দিনের সাথে পৌর সভার ২নং পৌর ওয়ার্ড নতুন পাড়ার মীর হোসেন এর মেয়ে ফাতেমা আক্তার এর সাথে ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের নাভা (৮) নামে এক মেয়ে ও রাগ( ৪) নামে এক ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে পর নারীর আসক্ত হয়ে যৌতুকসহ বিভিন্ন অযুহাতে মারধর করতো বলে স্ত্রীর অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ এই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে এলোপাতাড়ি মারধর করে ডিভোর্সের হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগি স্ত্রী ফাতেমা বাদি হয়ে সালাহ উদ্দিনের কর্মস্থল ব্রাহ্মনবাড়িয়া সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়নক বরাবর ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করলে বিজিবির বিধি মোতাবেক এনসিও শৃঙ্খলার পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার বিষয় প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৮ মে ২০২৩ ইং তাকে চাকরী হতে অব্যাহতি দেয়া হয়।
অপরদিকে ভুক্তভোগি ফাতেমা বাদি হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতেও (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ) মামলা করেন। (যার নং ৬৮/২৩)।
স্ত্রীর মামলার আসামি স্বামী সালাউদ্দিন গত ১২জুলাই/২৩ হাইকোর্ট হতে ৬ সপ্তাহের অন্তর্ভর্তীকালীন জামিনে এসে যথা সময়ে নিম্ন আদলতে আত্মসমর্পন না করে বাদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যার হুমকিসহ নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমন অভিযোগ করেন ফাতেমা আক্তার।
পক্ষান্তরে হাইকোর্টের দেয়া নির্ধারিত সময়ের পর ২৮ আগষ্ট আসামি সালাউদ্দিন নিম্ন আদালতে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে, আদালত জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে প্রেরন করে।