মিয়ানমারে সামরিক অভূত্থানের সম্ভাবনা নাকচ করছে না সেনাবাহিনী

fec-image

সম্প্রতি মিয়ানমারের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী সেখানে অভ্যূত্থানের সম্ভাবনা নাকচ করে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা দাবি করছে যে, ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞরাও সতর্ক করে দিচ্ছেন যে, এই বিবাদ নতুন গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক সংকটের সূচনা করবে। সেখানকার কড়া সামরিক শাসন থেকে দেশটি মাত্র বছর দশেক আগে গণতন্ত্রে ফিরে আসে। ৮ নভেম্বরের ওই নির্বাচনে আওন সান সূচি ‘র ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমক্র্যাসি নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করেছিল কিন্তু সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলেপমেন্ট পার্টি বা USDP দাবি করছে যে, ওই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ভোট কারচুপি হয়েছিল এবং এ ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য নির্বাচন কর্তৃপক্ষের উপর তারা চাপ দিচ্ছে।

সেখানকার সংবিধান অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য সংসদে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ থাকে এবং সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত USDP দাবি করছে যে, তারা ৩১৪টি এলাকায় ভোটার তালিকায় ৮৬ লক্ষ অনিয়ম পেয়েছে, যার ফলে ভোটদাতারা একাধিক বার ভোট দিয়ে থাকতে পারে কিংবা অন্য কোন ধরণের নির্বাচনী অনিয়ম করতে পারে।

সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে যে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা কি নাকচ করা যেতে পারে, তখন তার জবাবে সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, আমরা এ কথা বলছি না যে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করবে, আমরা এ কথাও বলছি না যে আমরা ক্ষমতা দখল করবো না। আমরা সংবিধান অনুযায়ী আইন মেনে চলবো। মিয়ান্মারের প্রেসিডেন্টের জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান রয়েছে। মুখপাত্র বলেন যে, ক্ষমতাসীন সরকার, জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং দেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে এই বিবাদের নিরসন করুক। তিনি দাবি করেন যে, তারা সেনাবাহিনীর আপত্তি এড়িয়ে যাবার জন্য আইনের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

 

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন