রাখাইনে কর্মরত ১০ বাংলাদেশির ৩ জন ইয়াংগুনে পৌঁছেছেন


রাখাইনের সিতওয়েতে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত ১০ বাংলাদেশি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৩ জন রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইয়াংগুনে পৌঁছেছেন। বাকি ৭ জন মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইয়াংগুনে পৌঁছাবেন আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশিদের সরিয়ে আনা হচ্ছে। তারা ইয়াংগুনে অবস্থান করবেন এবং পরবর্তীতে পরিস্থিতি ভালো হলে তাদের আবার ফেরত পাঠানো হবে।’
সিতওয়েতে বাংলাদেশ মিশনে স্থানীয় কর্মচারীরা অবস্থান করছে এবং তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, রাখাইনে চলমান মিয়ানমার বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়। সে কারণে অন্যান্য বিদেশি মিশন ও জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিতওয়ে থেকে প্রতিদিন মাত্র একটি ফ্লাইট ইয়াংগুনে আসে এবং সেখানে টিকেট পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। কষ্ট করে টিকেটের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।’
মিয়ানমার বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রত্যাবাসন
এদিকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার বাহিনীর ৩৩০ সদস্যকে এ সপ্তাহের মধ্যে সমুদ্র পথে ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে রবিবার পররাষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রসঙ্গে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ তাদের বাহিনীর সদস্যদের নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উপকূলের কাছে আছে। বাংলাদেশের অনুমোদন সাপেক্ষে তারা আউটার অ্যাংকরেজে অপেক্ষা করবে এবং তাদের লোকদের নিয়ে যাবে।’
কক্সবাজারে যে জেটি আছে সেখানে ওই জাহাজ ভিড়তে পারবে না এবং মিয়ানমার নাগরিকদের ছোট ট্রলার বা নৌকায় করে আউটার অ্যাংকরেজের জাহাজে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ সপ্তাহের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবো। বর্তমানে প্রায় সবাই টেকনাফে অবস্থান করছে। এছাড়া আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদেরও তারিখ ঠিক হলে কক্সবাজার নিয়ে আসা হবে।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন