রাঙামাটিতে জারি আছে কারফিউ, পালন হচ্ছে ধর্মঘট-অবরোধ
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাঙামাটি পরিবহণ মালিক সমিতির ধর্মঘট এবং পাহাড়িদের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এখনো জারি আছে কারফিউ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সড়কে টহল অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী।
এদিকে রাঙামাটির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ধারা বলবৎ থাকবে, তবে ১৪৪ধারা প্রত্যাহার করলে তা অবহিত করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ধর্মঘট, অবরোধের প্রভাব এবং ১৪৪ধারা জারি থাকার কারণে মানুষ বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
পুরো শহরে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষের মনে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজব থেকে সতর্ক এবং সম্প্রতি বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা করা হচ্ছে।
পাহাড়িদের ডাকা তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে রাঙামাটির পর্যটন নগরী সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছেন আট শতাধিক পর্যটক। সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মূলত ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি থেকে যারা সাজেক গিয়েছিলেন, অবরোধের কারণে তারাই আটকা পড়েছেন। পরিস্থিতি উন্নতি হলে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপটে পর্যটকরা আটকা পড়লে সাজেক কটেজ মালিক সমিতি পর্যটকদের থাকা- খাওয়ায় ছাড় প্রদান করে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ সেপ্টেম্বর সকালে রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের ৫৩ জন আহত হয়েছিলো। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।