রাজাখালীর দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা নিতে ওসিকে আদালতের নির্দেশ
এম.জুবাইদ. পেকুয়া:
পেকুয়ার রাজাখালীতে দুগ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় পেকুয়া থানার ওসিকে মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জানা যায়, ১৯ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সন্ত্রাস কবলিত রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরী পাড়া ও বখশিয়া ঘোনা দু’গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় বখশিয়া ঘোনার লোকজন সুন্দরী পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলীকে তার বসতঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে।
এঘটনায় পেকুয়া থানা পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রসহ বখশিয়াঘোনার আবদুল নুরের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ কালুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পরে আওয়ামীলীগ নেতাদের চাপের মুখে রেজাউল করিমকে ৫৪ ধারায় চালান দেয় এবং ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম বেগম বাদী হয়ে ২৮ ব্যক্তিকে আসামী করে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করতে এজাহার দায়ের করলেও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি।
পরে ২৩ এপ্রিল পুলিশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক রেজাউল করিমকে প্রধান আসামীসহ ২৯ ব্যক্তিকে আসামী করে চকরিয়া জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত পেকুয়া থানার ওসিকে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। যার সি.আর মামলা নং-২৬৪/১৪। মামলার বাদি বলেন, ১৯ এপ্রিল ঘটনার দিন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ রেজাউল করিম প্রকাশ কালুকে পুলিশ শত শত জনতার সম্মুখে আটক করলেও রহস্য জনক কারণে আগ্নেয়াস্ত্রটি পরিত্যক্ত দেখিয়ে সন্ত্রাসী কালুকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করে এবং তার দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে নিবেনা বলে পুলিশ সরাসরি জানিয়ে দেন। পরে নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করতে হয়েছে। তিনি এখনো ন্যায় বিচার পাওয়ার ব্যাপারে চরম শংকায় রয়েছেন বলেও জানান।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা নিতে আদালতের নির্দেশের কথা স্বীকার করে বলেন, শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।