রাতে খাবার রান্না হয়নি এমন খবরে চাল-ডাল নিয়ে হাজির ইউএনও
চার মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে অভাবের সংসার মাটিরাঙ্গার হাতিয়াপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল ওহাবের। ঠেলা গাড়ি চালিয়েই অভাবের সংসার তার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমনে দেশে চলমান লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে পরিবারটি। সরকারি নানা সাহায্য সহযোগিতা যা পেয়েছেন, তা ফুরিয়ে গেছে।
খাদ্য সঙ্কটে বুধবার রাতের রান্নাও হয়নি ছয় সদস্যের পরিবারে। বড়রা যেমন তেমন ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাচ্ছিলো পরিবারের ছোট মেয়েগুলো। ছোট মেয়েগুলোর পেটে দেওয়ার মতো কোনো খাবার তাঁর ঘরে নেই।
এমন খবর জানতে পেরে বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাল, ডাল, আলু ও তৈলসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ওই বাড়িতে হাজির হলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ।
নিরন্ন ঘরে খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি গৃহবধূ বলেন, আমাদের ঘরে রান্না হয়নি, মেয়েগুলো না খেয়ে রাত কাটাবে এমন কষ্ট যখন আমাদের মাথার উপর তখন চাল-ডাল নিয়ে দরজায় হাজির হলেন ইউএনও স্যার। এই ত্রাণ দিয়ে তার পরিবারের ১০-১৫ দিনের খাবারের যোগান হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এমন মানুষ আছেন বলেই গরীবরা বেঁচে আছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, কাছ থেকে না দেখলে মানুষের কষ্ট বোঝা যায়না। আয় না থাকায় খাবারের কষ্টে আছেন তাঁরা। এমন খবর পেয়ে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। রাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাঁর বাসায় দিয়ে এসেছি।’
এসময় তিনি আশেপাশে খাদ্য সঙ্কটে থাকা কর্মহীন আরও পাঁচ পরিবারেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।