রামুতে দুটি অবৈধ বালু মহলে অভিযান, মেশিন ও সরঞ্জামসহ বালু জব্দ

রামু উপজেলাধীন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের জাংছড়ি খালের ফাক্রি কাটায় মেহেদী হাসান ও মৌলভী কাটায় জহিরের পৃথক দুটি অবৈধ বালু মহলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও সরঞ্জামসহ অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে তোলা বালু জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান টের পেয়ে স্থানী বালু খেকোরা পালিয়ে যায়।
শনিবার (১২জুন) বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন রামু এসিল্যান্ড রিগ্যান চাকমা। এসময় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত এস আই মোজাম্মেল হকও উপস্থিত ছিলেন।
রামু এসিল্যান্ড রিগ্যান চাকমা জানান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের জাংছড়ি খালের ফাক্রি কাটায় মেহেদী হাসান ও মৌলভী কাটায় জহিরের পৃথক দুটি অবৈধ বালু মহলে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং অভিযান চলাকালে অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও সরঞ্জামসহ ড্রেজার মেশিন দিয়ে তোলা বালু জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, ধারাবাহিকভাবে অবৈধ বালুমহালে এ অভিযান চলবে। যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হোক না কেন। কেউই অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তুলতে পারবে না। যদি কেউ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে। তার বিরুদ্ধের সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া বাঁকখালী নদী এবং বাঁকখালী নদীযুক্ত বিভিন্ন খালে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু বিক্রি করে আসছে। বহুবার স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে আসলেও অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এবারের বর্ষা মৌসুমে বাঁকখালী নদী ও খালের বিভিন্ন পয়েন্টে দুই তীরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন বসত বাড়িসহ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়ায় বাঁকখালী নদী ও বিভিন্ন খালে অবৈধ বালু মহাল চিহ্নিত করে সেখানেও অভিযান পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় সচেতন মহল জোর দাবি জানিয়েছেন।