সরকারি রাবার বাগান উজাড়, লাকড়ি হিসেবে বিক্রি
দীঘিনালায় সরকারি রাবার বাগান উজাড় করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রকাশ্যে বাগানের গাছ কেটে লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করলেও কর্তৃপক্ষ যেন কিছুই দেখছে না। এ ছাড়া রাবার বাগান কেটে গাছ বিক্রির পর ব্যক্তিগতভাবে ফলদ ও সেগুনবাগান করে তা দখল করা হচ্ছে। রাবার চাষিদের দলপতির পক্ষ থেকে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও অদৃশ্য কারণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ধ্বংস হচ্ছে সাদা সোনা খ্যাত রাবার কষের পরিপক্ব বাগান।
বুধবার (১৮ মে) উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের ২ নং ও ৩ নং যৌথ খামার বাবার প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েক জায়গায় শ্রমিকরা দলবদ্ধ হয়ে রাবারগাছ কেটে লাকড়ি হিসেবে স্তূপ করছেন। আবহাওয়া অফিসসংলগ্ন এলাকা, বুদ্ধপাড়া, আলমগীর টিলা ও কড়ইতলী এলাকায় সবচেয়ে বেশি গাছ কাটা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গাছ কেটে বিক্রির পর ফাঁকা স্থানে ব্যক্তিগতভাবে ফলদ গাছ লাগানো হচ্ছে। এভাবে বাগানের শতাধিক একর জায়গা দখল করা হয়েছে।
বাগানের কড়ইতলী এলাকায় গাছ কাটা শ্রমিক সোহেল চাকমা (২৫) জানান, ছাতকছড়া এলাকা থেকে কাজ করতে এসেছেন তিনি কিন্তু মালিকের নাম জানেন না।
২ নং যৌথ খামার রাবার প্রকল্পের সহকারী দলপতি নিকেল ত্রিপুরা (৩৮) ওরফে বাগানসা বলেন, রাবার বাগান উন্নয়ন প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দীঘিনালা কার্যালয়ের মো. আলম পারেননি। এবং জেলা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিনকে গত সপ্তাহে বিষয়টি জানিয়েছি। থানাকে অবহিত করে পুলিশ পাঠিয়ে কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অদৃশ্য কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. আলম জানান, বিষয়টি তাঁরা জেনেছেন, কিন্তু তিনি এলাকার বাইরে থাকায় ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড খাগড়াছড়ি জেলা কার্যালয়ের সুপারিনটেনডেন্ট জসিম উদ্দিন জানান, তিনি ছুটিতে খাগড়াছড়ির বাইরে আছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।