সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী নারী-শিশুসহ ১২২ রোহিঙ্গা উদ্ধার

fec-image

সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারকালে মাঝি-মাল্লাসহ ১’শ ২২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এর মধ্যে শিশু ১৫ জন ও ৫৯ জন নারী রয়েছে। উদ্ধারকৃতরা সকলে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তারা মোটা অংকের বিনিময়ে বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে ট্রলারে উঠেছিল বলে ভিকটিমরা জানিয়েছে।

১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সেন্টমার্টিনের অদূরে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে তাদের আটক করে।

জানা যায়, টেকনাফ থেকে গত ১২ নভেম্বর একটি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ফিশিং ট্রলার দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেয়। যাত্রাকালে সেন্টমার্টিন থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম সাগরে ট্রলারটি বিকল হয়ে ভাসতে থাকে। স্থানীয় জেলেরা ভাসমান ট্রলারটি দেখতে পেয়ে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড জওয়ানরা মাঝি-মাল্লাসহ ১২২ জন রোহিঙ্গা ও ট্রলারটি উদ্ধার করে রাত ৭টায় টেকনাফে নিয়ে আসে। এর মধ্যে শিশু ১৫ জন ও ৫৯ জন নারী রয়েছে।

মালয়েশিয়াগামী ভিকটিম বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আতা উল্লাহ জানান, বাংলাদেশে চলতে ফিরতে কষ্ট হচ্ছে, তাই দালালের মাধ্যমে ট্রলার করে মালয়েশিয়া যাচ্ছি। গত মঙ্গলবার টেকনাফের রাজারছড়া ঘাট থেকে আরিফ আলী ও নুরুল আমিন নামক দুইজন ব্যক্তির মাধ্যমে ফিশিং বোট নিয়ে ট্রলারে উঠি।

বালুখালী সি-ব্লকের মো. আয়াছ (১৯) জানান, ট্রলার যোগে সাগর পথে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ধরে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। নগদে ৩০ হাজার টাকা ও বাকি মালয়েশিয়ার উপকূলে পৌঁছলে পরিশোধে কথা রয়েছে। কিন্তু পথি মথ্যে ট্রলার বিকল হয়ে গেলে কোস্ট গার্ড আমাদের উদ্ধার করে।

আফিয়া বেগম (১৫) বলেন, মালয়েশিয়াতে বউ হয়ে যাচ্ছি। দালালের মাধ্যমে দুই দিন ধরে ট্রলারে উঠেছি। এ অবস্থায় কোস্টগার্ড আমাদের আটক করেছে।

রশিদ আহমদের কন্যা সাবেকুন্নাহার নাহার (১৮) জানান, বাংলাদেশে আমার কেউ নেই। স্বামী মালয়েশিয়াতে রয়েছে। পাসপোর্ট করতে কড়াকড়ি হওয়ায় দালালের মাধ্যমে সাগর পথে আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন।

কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. সোহেল রানা বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার বিকল হয়ে ভাসমানের খবর পেয়ে উদ্ধার করতে যায়। ওই ট্রলারে মাঝি-মাল্লাসহ ১২২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে টেকনাফে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা, সেন্টমার্টিনের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন