মিয়ানমারে সু চির বিচার শুরু

fec-image

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বিচার শুরু হচ্ছে।

গত নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের প্রচার চালানোর সময় করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ ভাঙা ও লাইসেন্সবিহীন ওয়াকিটকি রাখার দায়ে সোমবার থেকে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন ৭৫ বছর বয়সি সু চি। খবর রয়টার্সের।

প্রথম মামলার বিচার জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ, সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ ও ইয়াংগনের সাবেক মুখমন্ত্রীর কাছে থেকে ছয় লাখ ডলার ও ১১ দশমিক চার কেজি সোনা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগও আছে।

সু চি কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবীরা। তার প্রধান আইনজীবী খিন ময়ুং জ সর্বশেষ ওই দুর্নীতির অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা গেছে, সোমবার গণতন্ত্রপন্থি প্রতিবাদকারীরা দেশটির প্রধান শহর ইয়াংগনের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করেছে, তাদের অনেকে ‘বিপ্লবী যুদ্ধ, আমরা অংশ নিচ্ছি’ বলে শ্লোগান দেয়।

কিছু আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, তারা সোমবার চে গুয়েভারার জন্মদিনে ধারাবাহিক ধর্মঘট ও প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করেছেন। ল্যাটিন আমেরিকান বিপ্লবী নেতা চে তার মৃত্যুর পর বিপ্লবের আন্তর্জাতিক প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।

মিয়ানমারজুড়ে সহিংসতা তীব্র হয়ে উঠেছে মন্তব্য করে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাশেলেত সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা করেছেন।

মিয়ানমারে জান্তা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাশেলেতের এ বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে একে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছে।

মিয়ানমারের জান্তা নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ২৫ জন নির্মাণ শ্রমিককে হত্যার জন্য দেশটির একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। গত মাসে দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে ৪৭ জন শ্রমিকের একটি দলকে অপহরণের পর তাদের মধ্য থেকে ২৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

এই অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অর্গানাইজেশনের (কেএনডিও) সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারেনি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল ও সু চি ও তার দলের অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক করার পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বিচার, সু চির
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন