রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবাসন বাধা হবে না
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া কোনো বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রকল্প শুরু হলে বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। কেউ অপরাধ করলে তাকে বিচারের সম্মুখে আনতে হবে। এসব বাজে অজুহাত তোলা যাবে না। কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি তাকে পেতে হবে।’
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বললাম, আপনারা তো পুরো পৃথিবীতে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান। আমরা প্রায়ই বলে থাকি, গণহত্যা আর নয়। তবুও গণহত্যা হয়। আপনারা বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে কাজ করলে আপনাদেরও নাম হবে, মানুষেরও দুর্ভোগ লাঘব হবে। যারা গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত আমরা তাদের বিচারের সম্মুখে আনতে চাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সাময়িক একটি ক্যাম্প করেছেন ওনারা। যেখানে তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করবেন। তারা আমাদের কাছ থেকে লজিস্টিক সাপোর্ট চান। সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানে আমরা প্রস্তুত আছি, এটা তো আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করে তাদের জানাব। আমরা চাই, এ মামলা দীর্ঘায়িত না হোক। এটা যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই মানুষের মঙ্গল হবে।’
পাঁচদিনের সফরে গতকাল ঢাকায় আসেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি। সফরের প্রথম দিন ড. মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় তার এ বাংলাদেশ সফর। আজ ও আগামীকাল কক্সবাজার সফর করবেন করিম খান। সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি। বাংলাদেশ সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘মামলা’ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা জানি না। আমার কোনো ধারণা নেই। বাহবা পাওয়ার জন্য, মিডিয়ায় বাহবা পাওয়ার জন্য কেউ হয়তো এটা করেছেন। এটার মূল উদ্দেশ্য কী আমরা জানি না।’