স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অনীহা


কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অনীহায় উদ্ধারকৃত ভিকটিম পুনরায় অপহরণের শিকার হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বাদী।
আলোচিত এ মামলার বাদী নিয়ামত উল্লাহর দাবী, গত ২ মার্চ দিন দুপুরে তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোট বোন ছদ্ম নাম চাঁদনী (১৭) একই এলাকার বখাটে তৌহিদুল ইসলাম (২২) গং কর্তৃক অপহরণের শিকার হন।
অপহরণ পরবর্তী ভিকটিমকে উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে অপহরণকারীদের সাথে আপোষে চাপ দেন এবং মামলা নিতে গড়িমসি করেন । এক পর্যায়ে তখনকার পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত ৬ মার্চ অপহরণকারী তৌহিদুল ইসলাম, পিতা-নুরুল হক, সাং- পূর্ব নাপিতখালী, বামনকাটা,৬নং ওয়ার্ড, ইসলামপুর, ঈদগাঁও, কক্সবাজারকে প্রধান আসামি করে জড়িত অপরাপরদের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় অপহরণ মামলা রেকর্ড হয়। যার মামলা নং-৩/ ৬মার্চ ২০২৫। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই মাহবুবুল আলম।
মামলা রেকর্ডের দিন ভিকটিমকে রহস্যজনক ভাবে পুলিশ উদ্ধার করলেও কোথা থেকে, কিভাবে,কোন অবস্থায়,কার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে তা এ পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি। ভিকটিম থানা হেফাজতে থাকাকালে আসামি পক্ষকে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ ও খাবার সরবরাহের সুযোগ দিলেও বাদি পরিবারকে কোন রকম যোগাযোগের সুযোগ দেননি । এমনকি ভিকটিমের অপর ভাই বোনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তদন্ত কর্মকর্তা তার সাথে অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ বাদীর।
বাদী প্রতিবেদককে আরো জানান, মামলা রেকর্ড পরবর্তী তদন্ত কর্মকর্তা বিবাদীর বাড়িতে গিয়ে আসামি গ্রেফতারের পরিবর্তে উল্টো আসামীদের পালিয়ে থাকার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ করেন।
৭ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিমকে আদালতে সোপর্দ করলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও নিরাপত্তার কথা ভেবে ভিকটিমকে বাদীর জিম্মায় দেন আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম ৮ মার্চ ভিকটিমকে মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
৯ মার্চ বিকেলে ভিকটিম পুনরায় অপহরণের শিকার হন। ভিকটিম পরিবার পরে জানতে পারেন প্রথম দফা অপহরণের পর অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভিকটিমকে জিম্মি করে জন্মনিবন্ধন ও স্কুল রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জন্ম তারিখ গোপন করে এফিডেভিট মূলে বয়স বৃদ্ধি করে অপহরণকারীর সাথে বাল্য বিয়ে পড়িয়ে অপহরণ পরবর্তী ধর্ষণ ঘটনাকে অনৈতিক পন্থায় বৈধতা দেয়ার অংশ হিসেবে মোটা অংকের মিশনে মেডিকেল রিপোর্ট ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা করছে বলে বাদীর অভিযোগ ।
বাদীর অভিযোগ থানা পুলিশ যদি প্রথম দফায় ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারে তৎপর হত তাহলে তার স্কুল পড়ুয়া বোন দ্বিতীয় দফা অপহরণের শিকার এবং তার চলতি পরীক্ষাসহ শিক্ষা জীবন ধ্বংস হতনা। তারা এর জন্য তদন্ত কর্মকর্তার সাথে আসামিদের যোগসাজশকে দায়ী করছেন।
এদিকে অতি সম্প্রতি মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষ বিভিন্ন মাধ্যমে বাদি পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন অভিযোগ করে তারা ভিকটিমের জীবনহানির আশঙ্কা করছেন । তারা অবিলম্বে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসামি ধরার চেষ্টায় আছেন এবং দ্বিতীয় দফা ভিকটিম অপহরণ হয়েছে এ সংবাদ তিনি জানেন না দাবি করলেও বাদী তৎখনাত পুনঃ অপহরণের ঘটনা জানিয়েছিলেন দাবি করেন।
উপরোক্ত বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মছিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন জানান তিনি।