২০টি পয়েন্ট দিয়ে বিদেশে রোহিঙ্গা পাচার, বন্দিশালায় জিম্মি অনেকে

fec-image

এখন মানবপাচারের নতুন রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মহেষখালীয়াপাড়া উপকূল। নতুন কৌশলে এই পথে মানবপাচার চালিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ একাধিক চক্র। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা দালালরা পাচার চক্রের সদস্য। চক্রের সদস্যরা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বিভিন্ন দেশে ভালো চাকরি এবং রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ের কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর মধ্যে পাচারের শিকার অধিকাংশ নারী-পুরুষকে মালয়েশিয়ার কথা বলে নেওয়া হচ্ছে মিয়ানমারের চামিলা গ্রামের বন্দিশালায়, সেখানে তাদের জিম্মি করে নির্যাতন চালিয়ে আদায় করা হয় মুক্তিপণ। এই বন্দিশালাকে কেউ কেউ চামিলা ‘টর্চার সেল’ বলছেন। মুক্তিপণ দিয়ে সেখান থেকে ফিরে অনেকে নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে এখনও বন্দি আছেন কয়েকশ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি। বন্দিশালা থেকে ফেরা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বন্দিশালা থেকে ফেরা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনের পূর্ব-দক্ষিণে উপকূলে মিয়ানমারের একটি গ্রাম চামিলা। গ্রামটিতে দেড় শতাধিক ঘর করে বসবাস করছে মগ ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ। গ্রামের প্রতিটি ঘর যেন বন্দিশালা, যেখানে জিম্মি রয়েছে কয়েকশ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া সমুদ্রপথে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে তাদের সেখানে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে নির্যাতন করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে তিন-চার লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করা হয়। মুক্তিপণ না পেয়ে অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে, আবার অল্প টাকা মুক্তিপণ পেলে কোনও কোনও ব্যক্তিকে সমুদ্রের কূলে এনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দিনের পর দিন এভাবে প্রতারণা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।

সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গাকে ট্রলারে তোলা হয়। তাদের কাছ থেকে দুই-তিন লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। সেদিন সারারাত তাদের সমুদ্রে ঘুরিয়ে ১০ নভেম্বর ভোরে টেকনাফ উপজেলার মহেষখালীয়াপাড়া এলাকার মহেষখালীয়া ঘাটে নামিয়ে দেয় পাচারকারীরা। এর মধ্যে ছিলেন অধিকাংশ রোহিঙ্গা নারী-শিশু। ওই দিন ভোরে তাদের উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে পাচারে জড়িত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে এপিবিএন। গ্রেফতার দালাল চক্রের সদস্যদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি ও তিনজন রোহিঙ্গা। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে মানবপাচার করে আসছিল।

এই চক্রের কবলে পড়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ বলেন, ‘আমরা তিন বন্ধু মহেষখালীয়াপাড়া এলাকায় ধান কাটার কাজে যাচ্ছিলাম। কচ্ছপিয়া এলাকায় পৌঁছালে আমাদের অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায় পাচারকারীরা। এরপর মারধর করে মুক্তিপণ চায়। টাকা নেই বললে আরও মারধর করা হয়। তখন দুই-তিন লাখ টাকা করে দিলে আমাদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে তারা। সেইসঙ্গে বলা হয়, সে দেশে ভালো চাকরি দেবে। শেষমেশ আমরা রাজি হয়ে যাই। ৯ নভেম্বর বিকালে আমরা ট্রলারে উঠি। সেখানে ১৫০ জন ছিলাম। আমার পরিবারের ছয় সদস্য ছিল। সমুদ্রপথে ইন্দোনেশিয়া হয়ে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার কথা ছিল আমাদের। ওই দিন পুরো রাত সমুদ্রে ট্রলার ঘুরিয়ে ভোরে কূলের কাছাকাছি এসে মাঝিরা পালিয়ে যায়। সকালে খবর পেয়ে আমাদের উদ্ধার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।’

চক্রের সদস্যরা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বিভিন্ন দেশে ভালো চাকরি এবং রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ের কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে

১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মহেষখালীয়াপাড়ায় জড়ো করে চক্রের সদস্যরা। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মহেষখালীয়াপাড়া এলাকার একটি ঘর থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে মানবপাচার করে আসছিল। রোহিঙ্গারা এখন মানবপাচার চক্রের প্রধান লক্ষ্য। চক্রের সদস্যরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ভালো চাকরি এবং রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ের কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, টেকনাফ উপকূলের ২০টি পয়েন্ট দিয়ে চলছে মানবপাচার। এগুলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—মহেষখালীয়াপাড়া, তুলাতলী, লম্বরী, রাজারছড়া, নোয়াখালীপাড়া, বড়ডেইল, কচ্ছপিয়া, মাথাভাঙা, শামলাপুর, বাহারছড়া, পশ্চিমপাড়া, নাইট্যংপাড়া, কেরুনতলী, বড়ইতলী, পুরাতন ও দক্ষিণ লম্বরী। এর মধ্যে বেশি পাচারের ঘটনা ঘটছে—রাজারছড়া, মাথাভাঙা ও মহেষখালীয়াপাড়া দিয়ে। গত ১৫ দিনে এই পথে অন্তত আট শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু পাচারের শিকার হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ট্রলার সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় রওনা হয়েছে। হয়তো তারা এখনও সমুদ্রে ভাসছে কিংবা কোনও পাহাড়ে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে শতাধিক রোহিঙ্গা রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে এপিবিএন। এর আগে গত সপ্তাহে সমুদ্রপথে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছায় ৪০০ রোহিঙ্গা। পরে আরও ২০০ রোহিঙ্গাকে নিয়ে একটি ট্রলার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে গেলে তীরে ভিড়তে দেয়নি সে দেশের গ্রামবাসী। ফলে তারাও সমুদ্রে ভাসছে বলে ধারণা করছেন এই কর্মকর্তা।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যমতে, গত বছর সমুদ্রপথে যাত্রা করে অন্তত ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে রোহিঙ্গাদের সমুদ্রপথে মিয়ানমার অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ পাঁচ গুণ বেড়ে তিন হাজার ৫০০ জনে গিয়ে ঠেকেছে। সুরক্ষা, নিরাপত্তা, পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া এবং জীবিকার তাগিদে রোহিঙ্গারা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা বেছে নিয়েছেন।

মুক্তিপণ দিয়ে পাঁচ দিন আগে মিয়ানমারের চামিলা গ্রামের বন্দিশালা থেকে ফিরেছেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মাঝার এলাকার বাসিন্দা মো. ওয়াদেহ (২২)। তিনি বলেন, ‘নিজ এলাকার মো. ইসহাকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। একদিন পরিবারের অভাবের কথা তাকে জানাই। তখন ইসহাক আমাকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার কথা বলে। কয়েকদিন পর এলাকার বন্ধু মো. জসিম, আয়াজ ও আমি ইসহাকের সঙ্গে ঘুরতে বের হই। কৌশলে ইসহাক আমাদের মহেষখালীয়াপাড়া এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাদের জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী কয়েকজন যুবক। পরে আমাদের ২৬ জনকে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ উপকূলে একটি ট্রলারে তুলে দেওয়া হয়। আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় চামিলা বন্দিশালায়। সেখানে গিয়ে দেখি, শত শত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি বন্দি। সবাই শিকলে বাঁধা। কাউকে রশি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রড দিয়ে পেটানো হচ্ছে। চিৎকার করে কাঁদছে সবাই। একটু এগোতেই দেখি, কয়েকজনের গলায় ছুরি ধরে ফোনে মুক্তিপণ চাচ্ছে পরিবারের কাছে। সবশেষ ফারুক নামে একজন এসে বললো, ইসহাক আমাদের তিন বন্ধুকে ২০ হাজার টাকা করে বিক্রি করে দিয়েছে শাহাব উদ্দিনের কাছে। শাহাব উদ্দিনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে আমাদের কিনে নিয়েছে ফারুক। এ কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। চোখের পানি ঝরছিল আমাদের।’

নিজেদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ওয়াদেহ বলেন, ‘ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের তিন জনকে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। গভীর রাতে ফোনে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চায়। এভাবে নির্যাতনের মধ্যে ১০ দিন কেটে যায়। ১২তম দিনে ধার করে ৬০ হাজার টাকা দালালদের দিয়ে আমাকে ছাড়িয়ে আনে পরিবার। আমার দুই বন্ধুসহ শত শত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি এখনও চামিলা বন্দিশালায় জিম্মি আছে। নির্যাতনের শেষ নেই।’

সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের কবলে পড়েছেন একই এলাকার অটোরিকশাচালক মো. সেলিম। এখনও তাকে ফিরে পায়নি পরিবার। সেলিমের স্ত্রী সেতারা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দা শহীদ উল্লাহ। বর্তমানে থাইল্যান্ড সীমান্তের এক আস্তানায় বন্দি আছে। চামিলা বন্দিশালায় থাকাকালে স্বামীর সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিল। দালালরা আমার কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েছিল স্বামীকে উদ্ধার করে দেবে বলে। কিন্তু এখনও ফেরত দেয়নি। শহীদ উল্লাহর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোনও কাজ হয়নি।’

পুলিশ জানায়, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় এক হাজার ১৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা। এসব ঘটনায় উখিয়া ও টেকনাফ থানায় ১২০০ জনকে আসামি করে ৮৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০৮ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মানবপাচার কেন বন্ধ হচ্ছে না, এক্ষেত্রে পুলিশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মানবপাচাররোধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু পাচারের শিকার ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় দালালদের টাকা দিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের উদ্ধারে আমাদের চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়। স্থানীয় পর্যায়ে যেসব মানবপাচারকারী সক্রিয় রয়েছে, তাদের ধরতে অভিযান শুরু করবো আমরা।’

অভিযান বন্ধ থাকায় পাচারকারীরা সক্রিয় রয়েছে বলে জানালেন কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের মহাসচিব এইচএম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর শীত মৌসুমে মানবপাচার বেড়ে যায়। কারণ এই সময়ে সমুদ্র শান্ত থাকে, পানি কম থাকায় নিরাপদে যাতায়াত করা হয়। পাচাররোধে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ না নিলে সমুদ্রপথে মৃত্যুর মিছিল থামানো যাবে না। মানবপাচার বন্ধ না হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’

রোহিঙ্গা পাচাররোধে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহ-অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পে টহল জোরদার করেছি। জরুরি কাজ ছাড়া ক্যাম্প থেকে যাতে কোনও রোহিঙ্গা বের হতে না পারেন, সেজন্য সতর্ক অবস্থানে আছি। তবে অস্ত্রধারী অপরাধীর তুলনায় ক্যাম্পে মানবপাচারকারীর সংখ্যা কম। তবু আমরা সব অপরাধীকে ধরতে অভিযান চালাই।’

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘কাজের সন্ধানে রোহিঙ্গারা আশ্রয়শিবির থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। আশ্রয়শিবিরের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০টির বেশি তল্লাশিচৌকি থাকলেও পাহাড়-জঙ্গল দিয়ে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে পড়ছে। তখন পাচারকারী কিংবা অপহরণকারীদের হাতে পড়ছে। পাচারকারী কিংবা অপহরণকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘একাধিক চক্র দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে মানবপাচার করে আসছে। রোহিঙ্গারা মানবপাচার চক্রের প্রধান লক্ষ্য। পাচারকারীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছি আমরা।’ সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পাচার, বন্দিশালা, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন