কক্সবাজারে মুক্তিপণ আদায় ও পাচারের ঘটনায় ৪ জন আটক, উদ্ধার ৭

fec-image

মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মিয়ানমারে জিন্মি রাখা ৭ জনকে কৌশলে উদ্ধার এবং আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজার সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

আটককৃতরা টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল এলাকার মৃত ওমর হামজার ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন (২৮), সাবরাং ইউনিয়নের লাফারঘোনা এলাকার আব্দুল গফুরের মেয়ে মাহফুজা বেগম (২২), একই ইউনিয়নের গোলারপাড়ার মৃত আব্দুল গণির ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৫৫) এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডং জেলার পুইমালি এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আয়াছ (২৬)।

আটককৃত ৪ আসামি

এ সময় চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের স্টেশন পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২৮), সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার রিয়াবা এলাকার মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. হাবিব উল্লাহ (১৬), কক্সবাজার পৌরসভার বৈদ্যঘোনা খাজামজ্ঞিল এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. রায়হান কবির (১৬), একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে মো. আলমগীর (১৮), মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সোনা মিয়ার ছেলে শওকত আজিজ (১৮) ও তার ভাই সফর আলী (১৭) এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে মো. মামুন মিয়া (২১) কে উদ্ধার করা হয়

সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় লিপিবদ্ধ হওয়া ২ টি সাধারণ ডাইরীর তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারি চক্র কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়ার কিছু কিশোর ও যুবককে নানা প্রলোভ দেখিয়ে উন্নত জীবনের কথা বলে মালেয়শিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি করে। তাদের প্রথমে টেকনাফের লেঙ্গুর বিল এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সাগর পথে মিয়ানমারের একটি আস্তানায় নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে। ওখানে জিন্মি করার পর নির্যাতন চালিয়ে ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপনের টাকা দাবি করে।

তিনি জানান, স্বজনরা নির্যাতনের খবর পেয়ে নানাভাবে পাচারকারীদের বিভিন্ন অংকের টাকাও প্রদান করে। এই টাকা গ্রহণকারি লোকজন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ পাচারকারি চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে ৪ জনকে আটক করে। এরপর গ্রেপ্তারদের কৌশলে ব্যবহার করে রবিবার রাতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের সমুদ্র সৈকত এলাকায় ফেরত আনা হয় ৭ জনকে।

মিজানুর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারের কাছ থেকে আর নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব তদন্ত করে পাচারকারি চক্রের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও নিখোঁজ অন্যদের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানা ছাড়াও পৃথকভাবে উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, উদ্ধার, কক্সবাজার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন