২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সীমান্তে আবারো স্থলমাইন বিষ্ফোরণ


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি সদস্যের পা উড়ে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আবারো স্থলমাইন বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তের নিকুছড়ি বিওপি পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। বিষ্ফোরণের সাথে সাথে হাতির বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা।
সুত্র থেকে জানা যায়,সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪২ নম্বর পিলারের নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ নিকুছড়ি বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ (বিপি-৪২) সংলগ্ন পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটছে কিনা সুত্র নিশ্চিত করতে পারে নি।
স্থানীয় কলাবাগান চাষী আবদুল সালাম জানান, বিস্ফোরণের সময় তিনি কলাবাগানে কাজ করছিলেন। তিনি আরও বলেন,সীমান্ত ঘেষা আরকান আর্মির দখলকরা অংজু ক্যাম্প সংলগ্ন জিরো লাইনে বিকট শব্দ শোনার সাথে সাথে একটি হাতি চিৎকার দিয়ে উঠে।
তবে দুর্গম ও জনশুন্য এলাকা হওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন প্রাণীর পায়ে লেগে এ মাইন বিষ্ফোরণ হয়েছে জানা যায় নি। তবে তার ধারণা হাতির পায়ে লেগেই এ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যেটি আহত হয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
উল্লেখ্য,পরশু রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অপর সীমান্ত পয়েন্ট বাইশফাঁড়ি বিওপির এলাকায় টহল অবস্থায় জঙ্গলাকীর্ণ পথ বেয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে নায়েক মোঃ আকতারের ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়। তার বাম পা ক্ষতবিক্ষত হয়। যাকে সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচ এ প্রেরণ করেছেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বিজিবি সেক্টর কমান্ডার (রামু) কর্ণেল মহিউদ্দিন।
এ ঘটনার ২৪ ঘটনার ব্যবধানে সীমান্তের উত্তরাংশের ৪২ পিলার এলাকায় আরেকটি মাইন বিষ্ফোরিত হল। এতে করে সীমান্ত আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
অপর দিকে রোববার ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে নো-ম্যান্স ল্যান্ড বিজিবি সদস্যের পায়ের গোড়ালি উড়ে যাওয়ার পর রামু সেনাবাহিনীর ৩০ জনের মাইন ডিসপোসাল টিম পরিদর্শনে যান। টিমটি কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধীনস্থ রেজু আমতলী বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার-৪০ সংলগ্ন প্রস্তাবিত রেজু আমতলী বিজিবির নতুন স্থান পেয়ারা বুনিয়ায় দেখতে যান প্রথমে। তারা মুলত পরিত্যক্ত একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ও মর্টারশেল পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে আগমন করেন সেখানে।
উল্লেখ্য উক্ত ঘটনায় বিজিবি অধিনায়ক লে:কর্ণেল খাইরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি নেটওয়ার্কের বাইরে সীমান্তের অন্য প্রান্তে অবস্থান করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

















