আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ, ১০ দিনেও খোঁজ মেলেনি

fec-image

কক্সবাজারের ঈদগাঁও থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে এক ব্যবসায়ী যুবককে তুলে নেয়ার ১০ দিন পরও খোঁজ মেলেনি বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করলেও কোন সদুত্তর পাননি বলে অভিযোগও করেন তারা।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর স্ত্রী রিনা আফরোজ তার লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে তার স্বামী মো. শাহজান, পিতা-আবদুল হাকিম সাং-পূর্ব ইছাখালী, পোকখালীকে ঈদগাঁও বাসস্টেশনস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাবাচ্ছুম টেলিকম থেকে ঈদগাঁও থানা পুলিশের এসআই মিরাজসহ পোশাকধারী আরো দুই সদস্য এবং সাদা পোশাকধারী অন্য তিনজন মিলে তাকে দোকান থেকে বের করে। পরে মুহূর্তেই মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী গাড়িতে করে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তখনই ঈদগাঁও থানা পুলিশ ও জড়িত এসআই মিরাজের সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা বারবার স্বীকার করে। তবে কে বা কারা কোথায় নিয়ে গেছে জানাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে থানায় বারবার জিডির চেষ্টা করলেও পুলিশ বিগত দশ দিনেও জিডি নেয়নি। বরং উল্টো ফিরে আসবে বলে অভয় দিয়ে আইনের আশ্রয় না নেয়ার পরামর্শ দেন। ঘটনার পর এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও শাহজাহানের কোন সন্ধান না পাওয়ায় তার বৃদ্ধ বাবা-মা, দুই শিশু সন্তান নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

এছাড়া সে বক্তব্যে আরো বলেন, তার স্বামী যদি কোন অপরাধে জড়িত থাকে, তবে অবিলম্বে আদালতে সোপর্দ করে আইনের আওতায় নেয়া হউক।তিনি দ্রুত সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট স্বামীকে ফেরত দেয়ার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিখোঁজ শাহজাহানের ভাই আবদুর রহিমকে নিখোঁজ পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, তুলে নেয়ার ঘটনায় উপস্থিত থাকা ঈদগাঁও থানা পুলিশের এসআই মিরাজ এবং থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে বারবার যোগাযোগ করলে তারা ফিরে আসবে বলে আশ্বস্ত করতে থাকেন এবং জিডি গ্রহণ না করে আইনের আশ্রয় না নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে নিরুপায় হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের নজরে আনতে বাধ্য হন।

অভিযোগ উঠা পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মিরাজের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে কিছু জানেননা বলে দাবি করলেও পরে যতটুকু জানেন, তা শাহজাহানের পরিবারকে অবহিত করেছেন বলে জানান।

ঈদগাঁও থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) গোলাম কবিরের নিকট উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সংঘটিত বিষয়টি সদ্য বিদায়ী ওসি’র সময় হয়েছে বলে ওই ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা এক কর্মকর্তার মাধ্যমে জেনেছি। হয়তো উচ্চতর কোন তদন্তের স্বার্থে এ আটকের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদগাঁও, নিখোঁজ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন