ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে নিহত ১১

fec-image

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় মারাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ আছেন ১২ জন। ওই আগ্নেয়গিরি থেকে জ্বলন্ত লাভার ছাই আকাশে ১০ হাজার ফুট পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। বহু এলাকা এসব ছাইভষ্মের মেঘে ছেয়ে গেছে।

রোববার ওই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এতে ৭৫ জন পর্বতারোহী প্রায় ২৯০০ মিটার উপরে আটকা পড়েন। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, উত্তপ্ত ছাইভষ্ম আকাশে জমা হয়ে পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের কমপক্ষে ১.৮ মাইল দূরে থাকতে অধিবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাডাং সার্স অ্যান্ড রেসক্যু এজেন্সির প্রধান আবদুল মালিক বলেছেন, ঘটনার পর থেকে পর্বতারোহীদের ২৬ জনকে উদ্ধার করা যায়নি। তাদের ১৪ জনকে শনাক্ত করা গেছে।

তার মধ্যে তিনজন জীবিত আছেন। ১১ জন মারা গেছেন। ওই এলাকা থেকে মোট ৪৯ জন পর্বতারোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ৮ জনকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।

এএফপিকে পশ্চিম সুমাত্রা ডিজঅ্যাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির প্রধান রুডি রিনালদি বলেছেন, যারা আহত হয়েছেন তার মধ্যে একজন জ্বালামুখের খুব কাছে ছিলেন।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এজেন্সির মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেন, আকাশে ছাইভষ্ম জমা হয়ে কয়েকটি গ্রামের ওপর চাদরের মতো ঢেকে আছে। সূর্যরশ্মি সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাস্ক বিতরণ করেছে। অধিবাসীদের চোখে চশমা পরার আহ্বান জানিয়েছে।

মারাপি পাহাড়ের ঢালে বসবাস করেন প্রায় ১৪০০ মানুষ। এর চূড়া থেকে তাদের দূরত্ব ৩.১ থেকে ৩.৭ মাইল। জ্বালামুখের সবচেয়ে কাছে এসব বসতি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নুৎপা, আগ্নেয়গিরি, ইন্দোনেশিয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন