উখিয়ার দক্ষিণ বড়বিল খালের ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদারের অবহেলায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

Ukhiya Pic 01 copy

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার দক্ষিণ বড়বিল তচ্ছাখালী খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজে ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে ৫টি গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের পরেছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধিনে চলতি অর্থ বছরে ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বিল তচ্ছাখালী খালের উপর ৪০ ফুট প্রস্ত ব্রীজের নির্মাণ কাজ চলতি বছর ২৮ এপ্রিল শুরু করা হয়। ব্রিজের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদার মনির আহমদ।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করে। শুধু তাই নয় কাজ শুরু করতে না করতে হঠাৎ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। ফলে বর্ষার মৌসুমে উপজেলা সদরের সাথে ৫টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ সম্পুর্ণ ভাবে বিছিন্ন হয়ে পড়ে।

সোমবার সকালে এ প্রতিবেদক সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি বাঁশের সাকোঁ দিয়ে পারাপার করছে। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মর্জিনা বেগম ও তাসলিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার সময় বিকল্প যাতায়তের জন্য কোন প্রকার ডাইভেশন বা কাঠের সেতু নির্মাণ না করায় আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।

অভিভাবকগণ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ঠিকাদারের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এলাকার শত শত জনগণ, স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি যানবাহন যাতায়ত বন্ধ থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। সাবেক মেম্বার আবুল হাশেম সাংবাদিকদের জানান, দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় ৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ বর্ষার মৌসুমে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, জনগণ ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য আজ মঙ্গলবার যাতায়ত সুবিধার লক্ষ্যে একটি ৪০ ফুটের কাঠের ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। স্থানীয় সচেতন জনগণ অবিলম্বে ব্রিজের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন ও যাতায়তের জন্য বিকল্প সেতু তৈরী করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন