উখিয়ায় মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক
ইয়াবা, স্বর্ণ, চোরাচালানসহ নানান অপরাধ কর্মকান্ডের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু শূণ্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গারা অনায়াসে মিয়ানমারের অভ্যান্তরে প্রবেশ করার সুযোগ থাকায় এসব অপরাধ বন্ধ হচ্ছেনা। তাছাড়া রাখাইন নাগরিকদেরও এই ক্যাম্পে যাতায়াত রয়েছে।
গত ২৪ মার্চ শূণ্যরেখার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ২ মিয়ানমারের নাগরিক। তারা শূণ্যরেখা থেকে বাইকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট সেন্টারের পশ্চিমের ক্যাম্পের চলে আসেন। পরে খবর পেয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের-১৪ (এপিবিএন) সদস্যরা এই দুই নাগরিককে একটি বাইকসহ আটক করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করেন। আটককৃতরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াবের বাসিন্দা সিন গোয়া শো অন (২১) ও কিন লং শো (২৭)।
মিয়ানমারের দুই নাগরিক কিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ক্যাম্পে আসেন এমন তথ্য খোঁজতে গিয়ে জানা যায়, তাদের মতো আরো অনেক মিয়ানমারের রাখাইন নাগরিক শূণ্যরেখা দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসা-যাওয়া করে থাকেন।
বালুখালী ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন লোকজনের সাথে বালুখালী ও কুতুপালং ক্যাম্পের কিছু রোহিঙ্গা নেতা, যারা ইয়াবা, মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত তাদের সখ্যতা রয়েছে৷ তাই সীমান্ত দিয়ে মাঝে-মধ্যে রাখাইন নাগরিকেরা ক্যাম্পে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন৷
তিনি আরও বলেন, শূণ্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মৌলভী আরফু আহাম্মদ, মাস্টার দিল মোহাম্মদ, আরসার কমান্ডার আতাউল্লাহ, মৌলভী মোস্তাক কেফায়াত উল্লাহ, ওস্তাদ খালেদ এর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগীতায় মিয়ানমারের রাখাইন লোকজন ক্যাম্পে যাওয়া-আসা করে। গত ২৪ মার্চ যে দুই রাখাইন পুলিশের হাতে আটক হয়, তারাও শূণ্যরেখা দিয়ে ক্যাম্পে আসে। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত মটর বাইকটি শূণ্যরেখার রোহিঙ্গা নেতা ওস্তাদ খালেকের।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪-এর অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের দুজন নাগরিককে আটক করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করি। তাদেরকে অনেক জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়েছে।