উখিয়ায় সংবাদকর্মীর ভাইকে অপহরণের চেষ্টা: প্রাণ নাশের হুমকি

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়ায় এক সংবাদকর্মীর ভাইকে অপহরণের চেষ্টা ও মারধরের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায় উখিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মী জাতীয় দৈনিক আমাদের নতুন সময়, দৈনিক পূর্বকোণ, পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি ও দৈনিক কক্সবাজার প্রতিদিন পত্রিকার উখিয়াস্থ স্টাফ রিপোর্টার ও পার্বত নিউজের রাজাপালং প্রতিনিধি, কায়সার হামিদ মানিকের ছোট ভাই আবদুল্লাহ আল মামুনকে শিলের ছড়া এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে খোরশেদ আলম ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী ভাড়া করে অপহরণের চেষ্টা করে।

তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসার আগে তাকে লাঠি দিয়ে বেদড়ক মারধর করে চলে যাওয়ার আগে ভূমিদস্যু ও মাদকের গডফাদার খোরশেদ আলম প্রাণ নাশের ও তার বড় ভাই সংবাদকর্মী কায়সার হামিদ মানিক ও তার ছোট ভাই ওমর ফারুক ইমরানকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে বীর দর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আবদুল্লাহ আল মামুনকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বাড়িতে কিছুই ভালো লাগছিলনা তাই আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে মোবাইলে লুডু খেলছিলাম, এসময় হঠাৎ করে ভূমিদস্যু খোরশেদ আলম প্রকাশ মদ খোরশেদ একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের হামলা করে। এসময় আমার অন্য বন্ধুরা পালিয়ে যাওয়ায় তারা আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে অপহরণের চেষ্টা করে। আমি বাঁচার জন্য শোর চিৎকার দিলে তারা আমাকে লাথি, কিল ঘুশি, লাঠি দিয়ে পেঠাতে থাকে এবং আমার বড় ভাই সাংবাদিক মানিক ও ছোট ভাই রিকশা চালক ফারুককেও প্রাণ নাশের এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। সে একজন চোরাচালানকারী, ভূমিদস্যু, মাদকের গডফাদার, তার বিরুদ্ধে অহরহ মাদকের মামলা রয়েছে থানায় ও আদালতে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন যুবক জানান, খোরশেদ আলম একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু, সে সরকারি জায়গা দখল বিক্রি ও মাদকের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। বর্তমানে বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইট দিয়ে পাঁচটি দোকার নির্মাণ করছে। ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করে না। কারণ তার রয়েছে টাকা ও সন্ত্রাসী বাহিনী। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে তাকে মারধর ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদান করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন