দূর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ি

এইচএম পার্বত্য হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. এ কে এম তোফায়েল বরখাস্ত

fec-image

শেষ রক্ষা হলো না খাগড়াছড়ি এইচএম পার্বত্য হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. একেএম তোফায়েল আহম্মদ। অবশেষে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এডহক কমিটির সভায় তাকে সাময়িক বহিস্কার ও বিভাগীয় মামলা দায়ের এর সিদ্ধান্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

খাগড়াছড়ির এইচএম পার্বত্য হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. একেএম তোফায়েল আহম্মদ এর বিরুদ্ধে কলেজের কোটি টাকা আত্মসাৎ, সহকর্মীদের বেতন না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, নিয়ম বর্হিভূতভাবে অর্থ ব্যয়, ভুয়া কর্মকর্তা কর্মচারী দেখিয়ে তাদের নামে বেতন উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান,‘ খাগড়াছড়ির এইচএম পার্বত্য হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. একেএম তোফায়েল আহম্মদ-এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি অর্থ সে তসরুপ করেছে। তার বিরুদ্ধে আর্থিকসহ ১৭টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা তাকে সাময়িক বহিস্কার করার সিন্ধান্ত নিয়েছি এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত সুপারিশ আকারে হোমিও প্যাথি বোর্ডে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত বছর ‘ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে পার্বত্যনিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে জোরেশোরে তদন্ত করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিদেবন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন। প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ তোফায়েলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন অনিয়মের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ,‘ কলেজের প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ টাকার কোন হিসেব দিতে পারেনি অধ্যক্ষ তোফায়েল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নামের বেনামে সরকারি টাকা উত্তোলন করে ব্যক্তিগতভাবে ব্যয় করেছে অধ্যক্ষ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন