একটি মহল রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বাধাগ্রস্থ করছে- বীর বাহাদুর
স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি:
যারা পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উন্নতি চায়না তারাই রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কাজে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং।
তিনি বলেন, সরকার তিন পার্বত্য জেলায় শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও একটি বিশেষমহল তা বাধাগ্রস্থ করছে। যার কারণে পার্বত্যাঞ্চলে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার যত বার ক্ষমতায় এসেছে ততবার চেষ্টা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে।
শনিবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃৃ-গোষ্ঠী ইনষ্টিটিউট অডিটোরিয়ামে জেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রবর্তিত ৪র্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকামর সভাপতিত্বে অনৃষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফা কামাল, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য অংসুইপ্র“ চৌধূরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. শাহাজাহান মল্লা প্রমুখ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং আরো বলেন, দেশের অন্যান্য জেলারমত সরকার পার্বত্যাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে সুশিক্ষায় শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলার চেষ্টা করছেন। কারণ বর্তমান সরকারের ২০২১সালের সোনার বাংলা গড়ার মধ্যে স্বপ্ন শেষ হয়নি।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে সুশিক্ষায় শিক্ষিত বাংলাদেশে গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে। পাবত্যাঞ্চলে শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে হলে শিক্ষকদের মা-বাবার ভূমিকাও পালন করতে হবে। তাদের শিক্ষা দীক্ষা অর্জন করে দেশ সেবায় আত্ননিয়োগ করতে হবে। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এ তিনজনের সমন্বয়ে একজন ছাত্র-ছাত্রী ভাল ফলাফল করতে পারে। শুধু এ+ পেলেই হবেনা জাতীয় মেধায় উত্তীর্ন হয়ে মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ সেবায় কাজ করার প্রতি তিনি আহবান জানিয়েছেন।
পরে অনুষ্ঠান শেষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রবর্তিত শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা-২০১৩ বৃত্তি ও সনদ বিতরণ রাঙামাটির ১০টি উপজেলার ৪০১জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সনদ বিতরণ করেছে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রসঙ্গ, রাঙামাটি জেলায় ১০টি উপজেলা মিলে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছে ১০১জন শিক্ষার্থী। তাছাড়া সাধারন গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে আরো ৩০০জন। তাদের সবাইকে এক হাজার টাকা করে মোট সাত লক্ষ বিশ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়।