কক্সবাজারে বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস

fec-image

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বই উৎসব হয়নি। অনেকটা চুপিসারে হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া হতো পাঠ্যবই।মহামারির ধকল কাটিয়ে ওঠার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিক বই উৎসব হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে। আর শিক্ষার্থীরাও উৎসব আর আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সাথে বই গ্রহণ করেছে। বছরের প্রথম দিনেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরে শিক্ষকরাও বেশ আনন্দিত।

রবিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘বই উৎসব’ হয়েছে। যেখানে মেতেছে শিক্ষার্থীরা। সারিবদ্ধ হয়ে গ্রহণ করেছে নিজেদের পাঠ্যবই। তাদের সঙ্গে অভিভাবকদের উপস্থিতিও ছিল বেশ লক্ষণীয়।

এই উপলক্ষে স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

তিনি বলেন, বছরের শুরুতে যে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে নতুন বই পাচ্ছে এটি বিরাট সফলতা। এর আনন্দটাই আলাদা। উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে পারছে। নতুন উৎসবের সাথে নতুন শিক্ষক, নতুন ক্লাস, নতুন ড্রেসের আমেজটাই অন্য রকম। এর মাধ্যমে শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, একজন সুনাগরিক হতে হলে দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেকে সৈনিক হিসেবে তৈরি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

প্রধান শিক্ষক মাসুদা মোর্শেদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভিষণ কান্তি দাশ, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন।

সিনিয়র শিক্ষক মো. আবু তৈয়ব দিদার ও মানিক চন্দ্র দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ইমাম খাইর।

বই উৎসবে সিনিয়র শিক্ষক সোহেল ইকবাল, এলি বড়ুয়া, শাহীনুর ইসমত আরা, উম্মে জাহেদা সুলতানাসহ শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন। এ সময় অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবছর জেলায় স্কুল ও মাদরাসায় প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থীকে ৬৩ লাখ ১৩ হাজার বই দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ৯০ হাজার শিক্ষার্থী পাচ্ছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৯টি বই।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, বই উৎসব
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন