কক্সবাজারে বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল ‘খুন’

fec-image

দিন, সপ্তাহ, মাস গুণতে গুণতে বিদায় হলো আরেকটি বছর। নানা ঘটনায় বর্ষপঞ্জিকা থেকে খসে পড়লো ২০২১ সাল। বিজোড় এ বছরটিতে তেমন বড় ধরনের সুসংবাদ ছিল না কক্সবাজারবাসীর জন্য, তাদের জন্য বিষাদে ভরপুর ছিল একুশ! করোনালকডাউনে গেছে দীর্ঘ সময়। বন্ধ হয়নি খুন-খারাবি, দখলবাজি। অনিয়ন্ত্রিত অপরাধকর্ম।

বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি কোন পর্যায়ে যাচ্ছে, রায় কী হচ্ছে? জানার আগ্রহে কেটেছে, আদালতের দিকে চোখ ছিল সবার।

বছরের শেষের দিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে। ঘটনাটি বিশ্বমিডিয়ায় আলোচিত হয়েছে। উখিয়ার ১৮নং ক্যাম্পে রাতের আঁধারে মাদরাসায় ঢুকে ছাত্র-শিক্ষকসহ ৬ জনকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা ভিন্ন কিছু আভাস দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের হাতে জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার নিহত হন। ঘটনাটি রাজনীতির মাঠে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। এছাড়া রয়েছে আরো অনেক ঘটনা, যা ২০২১ সালের স্বচ্ছ ক্যালেন্ডারে কালো আবরণ ফেলেছে।

পর্যটক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
কক্সবাজারে বখাটেচক্রের হাতে দুই দফায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন পর্যটক গৃহবধূ। ২২ ডিসেম্বরের ঘটনাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আঙ্গনে ফলাও করে প্রচার পায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। ঘটনার ক্লু বের করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। ধর্ষণকাণ্ডে চারজনের নাম উল্লেখসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে মূল হোতাসহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে।

মাসহ ২ সন্তানের লাশ উদ্ধার
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর নতুন অফিস এলাকায় জিসান আক্তার (২৫) নামের গৃবধূর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার হয়। একই সময় তার অবোঝ শিশু সাইফা শহিদ জাবিন (৫) ও সাইফা শহিদ জেরিন (২) এর লাশও মিলে। গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শয়নকক্ষে মাসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশের খবরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। নিহত জিসান আক্তার কৈলাসেরঘোনা গ্রামের মরহুম আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের স্ত্রী। তবে, কেন খুনের ঘটনা? শহিদুল হকের সুখের সংসারে হঠাৎ কেন অমানিশা নামলো? প্রশ্ন সবার। ঘটনার কূলকিনারা এখনো মেলেনি।

সিনহা হত্যা মামলা
সিনহা হত্যা মামলায় আদালতে সর্বশেষ আসামির বক্তব্য প্রদান করেন বরখাস্ত এসআই নন্দ দুলাল। ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তিনি লিখিত বক্তব্য দেন। এর মধ্য দিয়ে কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় ১৫ আসামির বক্তব্য প্রদান শেষ হয়েছে। যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ৯, ১০, ১১ এবং ১২ জানুয়ারি ধার্য করেছে আদালত।

বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জন তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেছেন। বিচারক আসামিদের প্রত্যেককে নিজেদের অপরাধের বিষয়ে সরাসরি জানতে চেয়েছেন। লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি ওসি প্রদীপসহ আসামিরা মৌখিকভাবে বিচারকের প্রশ্নের জবাব দেন। ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, জেরা শেষ হয়েছে। কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় ১৪ জন আসামি আদালতে তাদের লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। আসামিদের দেয়া বক্তব্য পর্যালোচনাও করেছেন আদালত।

পৃথকভাবে সকল আসামির বক্তব্য নিয়ে তাদের সরাসরি সওয়াল-জবাব করেন বিচারক। ধার্য তারিখে এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে। গত ২৩ আগস্ট থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়ে ১ ডিসেম্বর শেষ হয়। যেখানে ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

মুহিবুল্লাহ হত্যা
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লক) নিজ অফিসে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার পক্ষ হয়ে কাজ করা এই রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যার ঘটনাটি শুধু দেশ নয়, বিশ^মিডিয়ায় তোলপাড় হয়। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বেশ তৎপর ছিল।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করেন। হত্যার ঘটনায় এই পর্যন্ত কিলিং স্কোয়াডের চার সদস্যসহ ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৩ আসামি।

শ্রমিক লীগ সভাপতি নিহত
কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার লিংকরোডে ৫ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার। এ সময় তার ছোট ভাই কুদরত উল্লাহ সিকদারও গুলিবিদ্ধ হন। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিন পরে (৭ নভেম্বর) মারা যান জহির। এ ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় দলীয় নেতাকর্মীরা। সড়ক অবরোধ করে ক্ষুব্ধ জনতা। খুনের ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার ক্লু উদঘাটনে তৎপর প্রশাসন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুন
কক্সবাজারের উখিয়া ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ মাদরাসায় ২২ অক্টোবর গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালায়। নির্মম ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছে, যাদের সবাই রোহিঙ্গা। আরসা, আল ইয়াকিনকে ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

ঘটনার পরের দিন (২৩ অক্টোবর) উখিয়া থানায় মামলা করেন নিহত আজিজুল হকের পিতা নুরুল ইসলাম। এতে এজাহারনামীয় আসামি ২৫ জন। অজ্ঞাতনামা আসামি আরও ২৫০ জন। এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেখানে বেশ কয়েকজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে আদালতে। ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

হাশিমের লাশ বিতর্ক
কথিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) এর সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহাম্মদ হাশিমকে নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার পায়, হোয়াইক্যং উনচিপ্রাংয়ের ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আরসা নেতা হাশিম গণপিটুনিতে নিহত’ হয়েছে। সে ওই ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। ঘটনার কয়েকদিন আগে তাকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছিল বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়। তবে, হাশিমের মৃত্যুর বিষয়টি কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেনি। আরসার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল হাশিম। মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর তাকে হন্য হয়ে খোঁজছিল প্রশাসন।

মুনাফ সিকদার গুলিবিদ্ধ
২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুনাফ সিকদারকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কক্সবাজার শহর। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। ঘটনার পর ভিডিও বার্তায় মেয়র মুজিবুর রহমানের নির্দেশে গুলি করা হয় বলে দাবি করেন মুনাফ সিকদার।

মেয়র মুজিবের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক ছাত্র লীগ নেতা মুনাফ সিকদার (৩২) গুলিবিদ্ধের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৩১ অক্টোবর সদর থানায় মামলা হয়।

মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মেয়রের কর্মী-সমর্থকরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকে পর্যটন শহরের যান চলাচল। অবরুদ্ধ শহরে মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মামলার প্রতিবাদে নাগরিক সেবা দেয়নি পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।

কাঠগড়ায় প্রদীপের ফোনালাপ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ফোনালাপের ঘটনায় একজন এসটিআইসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। ২৫ আগস্ট তাদেরকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

ধর্ষণ মামলায় পুলিশ সদস্য কারাগারে
উখিয়া থানায় প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষণচেষ্টা মামলায় কারাগারে গেলেন ১৪ এপিবিএন সদস্য মো. ফরহাদ। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহর আদেশে ৩১ জুলাই তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। মো. ফরহাদ ১৪ এপিবিএন-এর কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পাহাড় ধসে ৫ সন্তানের মৃত্যু
টেকনাফের হ্নীলা ভিলেজারপাড়ায় পাহাড় ধসে বসত বাড়িতে মাটি চাপায় একই পরিবারের ৫ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জুলাই দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাব
গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ কক্সবাজারের ওপর দিয়ে বয়ে না গেলেও এর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে, উপক‚লীয় এলাকার বেড়িবাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, চিংড়িঘের, খেতখামারের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাগরের পানি বেড়েছে স্বাভাবিক চেয়ে প্রায় ৬ ফুট। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কক্সবাজার জেলায় ৫২.৫ হেক্টর শস্যক্ষেত্র এবং হ্যাচারি, মৎস্য, চিংড়িঘের, মৎস্য বিচরণ মিলে এখাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৮৫.৬৪ হেক্টর। এ ছাড়া ১.৫ কি.মি বিদ্যুৎ লাইন, ২১.৫ কি.মি সড়ক, ৫.৩৬৫ কি.মি বাঁধ, ২৩ হেক্টর বনাঞ্চল, ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৫৪টি নলক‚প ও ২০৯৬ মে. টন লবণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে ৯৩.৪৭৬ বর্গ কি.মি গ্রামাঞ্চল, ২১৮০টি খানা ও ৩৪৭০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয় এক শিশু। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ১৮,৭৪৭। পশুপাখি মারা গেছে ৬৭৬টি।

ভেসে ওঠলো ৪৪ ফুট দীর্ঘ তিমি
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়ি পয়েন্টে ৯ এপ্রিল ভেসে আসে ৪৪ ফুট দীর্ঘ মৃত তিমি, যা প্রায় ৮০০ ফুট দূর সাগর থেকে রশি দিয়ে টেনে ক‚লে তুলে আনে স্থানীয়রা। সাগরে বিশালাকার তিমি ভেসে আসার খবর পেয়ে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসে। যে যার মতো প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে পড়ে।

৫৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন, ভোটার তালিকাভুক্তি ও পাসপোর্ট পেতে সহযোগিতার অভিযোগে ৫ পুলিশ সদস্য এবং কক্সবাজার পৌরসভার ৭ জন কাউন্সিলরসহ মোট ৫৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ এসব মামলা হয়েছে। পৃথক ১২টি মামলায় আসামির তালিকায় আরো রয়েছেন- দুইজন ইউপি চেয়ারম্যান, দুইজন ইউপি সচিব এবং একজন আইনজীবী। আসামির খাতায় রয়েছে রোহিঙ্গা, স্থানীয় প্রভাবশালী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার নাম। যাদের অনেকে গ্রেফতার হয়ে পরে জামিনে মুক্ত হন।

আগুনে পুড়ে মরলো ১১ রোহিঙ্গা
গত ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাÐে ১১ রোহিঙ্গা মারা যায়। এ ঘটনায় প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ আহত হয়। আইএসসিজি জানায়, অগ্নিকাÐে প্রায় দশ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবার (৪৫,০০০ এরও বেশি ব্যক্তি) বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রায় দশ হাজার আশ্রয়স্থল আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সদর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের পরিত্যক্ত একটি কক্ষ থেকে ২৭ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফলে এ সময় ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করে পুরো এলাকায়। আতঙ্কে অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, অগ্নিকাণ্ডে সময়েও জরুরি সেবা অব্যাহত রাখেন চিকিৎসকরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন