করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কায় খাগড়াছড়ির আম চাষীরা
খাগড়াছড়িতে আম্রপালি, হাঁড়িভাঙ্গা, বারি আম-৪,৮,১১ এবং রাঙ্গুইনসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাম্পার ফলন হলেও করোনার কারণে আম ব্যবসায়ীরা আম সংগ্রহ করতে না আসায় লোকসানের মুখে পরেছেন চাষীরা। ফলে আম উৎপাদন খরচ তুলতে পারবেন কিনা এ নিয়ে শঙ্কা ও হতাশা দেখা দিয়েছে চাষীদের মধ্যে। তারা সরকারিভাবে আম বিপণনের দাবি জানিয়েছে।
পাহাড়ের মাটি উর্বর হওয়ায় আমের ফলন ভালো হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার আম যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। পাহাড়ে মূলত আম্রপালি, রাঙ্গুইন, বারি-৪, ৮, ১১ জাতের আম চাষ হয়।
খাগড়াছড়ির বাগান মালিক এবং ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতির উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিংকু বলেন, আমের ফলন ভালো হলেও বাজারজাত নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তার উপর করোনার কারণে বিগত বছরের মতো ভাল দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। তাই চাষীদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারিভাবে আম বিপণন ও প্রণোদনার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর খাগড়াছড়িতে ৩ হাজার ২৪৪ হেক্টর জায়গাজুড়ে প্রায় ২৯ হাজার ১৯৬ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা ১৯৬ মেট্রিক টন বেশি।
বাইরে থেকে যারা আম কিনতে খাগড়াছড়ি আসবে তারা যেন নির্বিঘ্নে আম কিনতে পারেন সেটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব। এছাড়া যদি আম বিক্রি করতে না পারে সেক্ষেত্রে কৃষি প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে বলে জনান খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মতুর্জ আলী।
পাহাড়ের পাদদেশে এখন গাছে গাছে ঝুলছে পাকা আম। পাহাড়ে মাটি ও জলবায়ু আম উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় ও ফলন ভাল হওয়ায় লাভের আশায় বুক বেঁধে ছিলেন স্থানীয় আম চাষীরা। কিন্তু করোনায় চাষীদের সেই স্বপ্ন হতাশায় পরিণত হয়েছে। ফলে আর্থিভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কায় চাষীরা।