কাউখালীতে উপজাতীয় নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ!

আসামী পক্ষের দাবী জমি সংক্রান্ত মামলার কাউন্টার মামলা

অভিযোগ

কাউখালী প্রতিনিধি:
রাঙামাটির কাউখালীতে উপজাতীয় নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫ মার্চ রাতে উপজেলার বেতছড়ি খামার বাড়ী নামক স্থানে এঘটনা ঘটে বলে মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে। এব্যাপারে কাউখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ এঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে এখানো আটক করতে পারেনি।

মামলার এজহারে সূত্রে জানা যায়, ৫ মার্চ রাত দশটায় উপজেলার বেতছড়িতে অবস্থিত পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য উষাহ্লা রোয়াজার খামার বাড়ীতে বসবাসরত হ্লামি মারমা (৩০) বসত ঘরে বেতছড়ি গ্রামের মোঃ কাসেমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও কচুখালী উক্যজাই পাড়া এলাকার গৌরাঙ্গ মজুমদারের ছেলে বাপ্পি মজুমদারসহ অজ্ঞাত অপর তিনজন ধারালো দা দিয়ে বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে। পরে হ্লামি মারমার স্বামী উচিমং মারমাকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় হ্লামি মারমার স্বামীর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

তবে মামলার ২নং আসামী বাপ্পি মজুমদারের পিতা গৌরাঙ্গা মজুমদার জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, কচুখালী কার্বারী পাড়া এলাকার জনৈক সোহেল চৌধুরী, মিনু রানী, সুরেশ চাকমা ও চিংথোয়াই মারমা দীর্ঘ এক যুগ ধরে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখল করে আছে। এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলার পর থেকে বিবাদীগণ আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী প্রদর্শন করে আসছে। তাছাড়া এ এলাকায় পাহাড়ীদের জবর দখলে থাকা জমি উদ্ধারের ঠেকাতে পাহাড়ীরা কৌশলে আমাদেরকে নারী নির্যাতনের মামলায় জড়িয়ে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। তিনি জানান, এরই সূত্রে ধরে এবং রাজনৈতিক কারণে আমার ছেলেও তার বন্ধুদের নামে এ ধর্ষনের মামলা সাজানো হয়েছে।

মামলার ১নং আসামী সাদ্দাম হোসেনের প্রতিবেশী বেতছড়ি এলাকার শরীফা বেগম (৩০) জানান, সাদ্দাম অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও লাজুক প্রকৃতির ছেলে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমরা বিশ্বাস করতে পারছিনা। এতে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কচুখালী এলাকার অপর এক পাহাড়ী নেতা জানান, এসব দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত মামলা মোকাদ্দমার পাল্টা কাউন্টার।

মামলার এজহারে বাদী ষ্পষ্ট উল্লেখ করেন অভিযুক্তরা তার গায়ে হাত দিয়েছে। তবে ধর্ষণের চেষ্টা করেনি। অথচ হিল উইমেন্স ফেডারেশনসহ পাহাড়ী অন্যান্য সংগঠনগুলো হ্লামি মারমাকে ধর্ষন করা হয়েছে মর্মে তাদের বিবৃতিতে প্রদান করে।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নিলু কান্তি বড়ুয়া জানান, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কথা শুনা যাচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করছে। প্রমাণিত হলে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন