আবাসস্থল ধ্বংস, বন উজাড় ও খাদ্য না পেয়ে লোকলয়ে তাণ্ডব

কাপ্তাইয়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনসচেতনতামূলক সভা

fec-image

পার্বত্যঞ্চলে বণ্যপ্রাণী অবাসস্থল ধবংস, বন উজাড় এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বন্যপ্রাণীদের নির্যাতনের ফলে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকার ইতোমধ্যে সোলার লাইট, পশুখাদ্য বাগান, আবাসস্থল ও মানুষের নিরাপত্তার জন্য বনবিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রদক্ষেপ নিয়েছে।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) পার্বত্য চটগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আয়োজনে কাপ্তাই এফডিটিসি ছাত্র রেস্ট হাউজ চত্ত্বরে ‘হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন ও হাতিসহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে’ এক জনসচেতনতামূলক সভা কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম মাহাবুব উল আলমের সঞ্চালনায় কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহানের সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।

জনসচেতনমূলক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কাপ্তাই বন উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালক মোঃ বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই পাল্প উড বাগান বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ আবুল কালাম, পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) রফিকুজ্জামান শাহ্, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সহকারী বন সংরক্ষক কাপ্তাই মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই সহকারী ভূমি কমিশন মাঈনুল হাসান চৌধুরী, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, সিএমসি সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল, হেডম্যান থোয়াইঅং মারমা, মাহমুদ উল্লাসহ প্রমুখ।

বক্তব্যে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা বলেন, হাতি দেশের সম্পদ, এদের রক্ষা করা আপনার আমার সকলের দায়িত্ব, আজ আমরা ওদের খাদ্য, বনজ সম্পদ উজাড় করার কারণে এরা লোকলয়ে আসছে। এরা আমাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। আমরা বন্যপ্রাণীদের যদি কোন ক্ষতি না করি তাহলে কখনও আমাদের ক্ষতি করবেনা। বন্যপ্রাণীর খায়না এমন কিছু যেমন মরিচ, লেবুগাছসহ বিবিধ শষ্য রোপন করা হলে লোকালয়ে হাতি আসবেনা। এদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে সকলে মতামত প্রদান করে।

বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ্ বলেন, ইতোমধ্যে আমরা হাতি লোকলয়ে না আসার ব্যাপারে ৮কিঃমিঃ পর্যন্ত সোলার ফেনসিলের প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ সোলার ফেনসিল চারদিকে দিয়ে দিলে আলোর কারণে হাতি আর লোকালয়ে আসবেনা। এতে করে হাতি আর মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও দ্বন্দ্ব নিরসন হবে। অনুষ্ঠানে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন উপস্থিত ছিল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কাপ্তাই, বনবিভাগ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন