কাপ্তাই রেশমবাগানে টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন

fec-image

রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলার ১নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন রেশম বাগানে ২কোটি ২৯ লাখ টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে রেশম বাগান তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় “টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প” উদ্বোধন করা হয়।

প্রকল্প উদ্বোধন করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান। এসময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, রাঙামাটি উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুস শহীদ, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক কামরুল হোসেন, কৃষকলীগ সম্পাদক সুধীর তালুকদারসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ওই প্রকল্পের আওতায় এলাকার ৫ হাজার লোজনের আত্ন সামাজিক উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

২নং ওয়ার্ডের রেশম বাগান তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া শিলছড়ি মুখ হতে ৩নং ওয়ার্ড কয়লারডিপু এলাকার কর্ণফুলী নদীর মুখ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার খাল খননের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে পানি সংরক্ষণ করা হবে। যার ফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য চাষ উৎপাদন এবং সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে এলাকার প্রায় ৫ হাজার জনগণের আত্ম-সামাজিক উন্নয়ন এর লক্ষ্যে ওই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২ কিলোমিটার খাল খনন এছাড়া প্রকল্পের অধীনে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি স্লুইস গেইট নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী মাস এ সুইস গেইট নির্মাণের কাজ শুরু হবে । ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে সমস্ত প্রকল্প গুলো সমাপ্ত হবে বলে জানান রাঙামাটি উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুস শহীদ। এ প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হলে সীমান্তবর্তী চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়ন এবং রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার জনগণ এর সুফল ভোগ করবেন বলে ব্যক্ত করেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, প্রাথমিকভাবে রেশম বাগান তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ার শিলছড়ি মুখ হতে রেশম বাগান পুলিশ চেকপোস্ট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে কেপিএম কয়লারডিপু কর্ণফুলী নদীর মুখ পর্যন্ত সর্বমোট ৪ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। যার ফলে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রেখে কৃষি চাষ, সামাজিক বনায়ন এবং মৎস্য চাষ করে প্রান্তিক কৃষকরা নিজেদের স্বাবলম্বী হবে এবং এলাকার উন্নয়ন হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন