কুতুবদিয়ায় বেড়েছে শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ

fec-image

কুতুবদিয়ায় ঠান্ডা-শীতজণিত কারণে শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে দ্বিগুণ। গত এক সপ্তাহেই আক্রান্ত হয়েছে দুই শতাধিক শিশু। এর মধ্যে খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া-বমি নিয়ে ভর্তি হয়েছে অন্তত ৯০ শিশু।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৯০ শিশু ভর্তি হয়েছে। ক্রমেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরমধ্যে গত ২১ জানুয়ারি ৮ জন, ২২ তারিখে ১৩ জন, ২৩ তারিখে ১৬ জন, ২৪ তারিখে ৬ জন, ২৫ তারিখে ২০ জন, ২৬ তারিখে ৬ জন, ২৭ তারিখে ৭ জন ও (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ জন শিশু ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিশু স্বল্প ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়।

ধুরুং বাজারে নকীব মেডিকেল হলের কেমিস্ট মোহাম্মদ রুবেল বলেন, প্রাইভেট চিকিৎসক মোহাম্মদ নুরুল আলম কুতুবীর চেম্বারে আসা শিশু রোগীদের অন্তত ২০ ভাগ শিশু ডায়রিয়া নিয়ে আসেন বলে জানান। বড়ঘোপ হাসপাতাল গেইটে বেশ কয়েকটি ফার্মেসীতে প্রাইভেট চিকিৎসকদের চেম্বারেও শিশু ডায়রিয়ার রোগীর চাপ বেশি বলে জানা যায়।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভর্তি হওয়া উত্তর ধুরুং গ্রামের মো: আজমের শিশু পুত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ইয়াসিন(২) এর মা সাইমুন জানান, হঠাৎ শুক্রবার সকাল থেকে বাচ্চার বেশ কয়েকবার পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়। অজপাড়া গাঁ থেকে শেষপর্যন্ত সন্ধ্যায় হাসপাতালে এসেছেন। খাবার স্যালাইন, কলেরা ইনজেকশন স্যালাইন, এন্টিবায়োটিক হাসপাতাল থেকে দেয়া হয়েছে। প্রেসক্রিপশনে থাকা নিটাজক্সানিড সাসপেনশন (এ্যালিনিক্স) ও জিংক সিরাপ বাহির থেকে কিনতে হয়েছে।

শীতকালে শিশুদের নিওমোনিয়ার পাশাপাশি শিশু ডায়রিয়ার কারণ হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতক ও শিশু রোগ বিভাগে শিশু স্বাস্থ্য ( ডিসিএইচ) কোর্সে থাকা ডা: মোহাম্মদ জায়নুল আবেদীন বলেন, কতকগুলো জীবাণু খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে ডায়রিয়া ঘটায়। এগুলো রোটাভাইরাস, ই-কোলাই, সিগেলা ভিবরিও কলেরা প্রভৃতি নামে পরিচিত। সাধারনত: খাদ্য বা পানীয়ের দ্বারা জীবাণু খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে ডায়রিয়ার সৃষ্টি করে থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শীত মৌসুমে সাধারণত শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ভর্তিকৃত শিশুদের জরুরী চিকিৎসায় ইনজেকশন স্যালাইন সহ অন্যান্য এন্টিবায়োটিক মজুদ আছে এবং তা নিয়মিত রোগীরা পাচ্ছে বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন