‘কেএনএফ কি বিদেশ থেকে সমর্থন পাচ্ছে?’

fec-image

কেএনএফ-কে ঘিরে নানা ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Is KNF getting support from foreign countries?’ অর্থাৎ ‘কেএনএফ কি বিদেশ থেকে সমর্থন পাচ্ছে?’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট- কেএনএফ এর কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং সম্প্রতি এই গোষ্ঠী যেসব অপরাধমূলক তৎপরতা চালিয়েছে তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে গোষ্ঠীটি বিদেশি কোন গ্রুপ থেকে সমর্থন পাচ্ছে কিনা। সরকারি কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বিবৃতি পরিস্থিতি স্পষ্ট করার চাইতে আরও বেশি বিভ্রান্তি তৈরি করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রতিবেশী দেশগুলোর অপরাধীদের সাথে কেএনএফ-এর কথিত সংযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিদেশিরা তাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও উঠে এসেছে।

তবে চট্টগ্রামে বক্তৃতাকালে ড. মাহমুদ বলেছেন, কেএনএফের তৎপরতা দমনে সরকার অভিযান শুরু করেছে। এই গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করার প্রচেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।

অন্যদিকে একটি সড়ক প্রকল্প উদ্বোধনের সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিদেশি সহায়তার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন, বিশেষ করে ভারতের মিজোরাম বা অন্য কোথাও থেকে যে সহায়তা আসার অভিযোগ উঠছে।

একটি ছোট দল পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোট দলটি শুধু বান্দরবানের। দলটির কয়েকজন যুবক অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বান্দরবানে ধারাবাহিক ব্যাংক ডাকাতির পর কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দেন। এর সাথে সম্ভাব্য বিদেশি সংযোগ আছে কিনা তা তদন্ত করার কথাও জানান তিনি।

নির্বাচনের তিন মাস পর আওয়ামী লীগের দলীয় পরিস্থিতি নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘থামেনি আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব-সংঘাত’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস পূর্তি হলেও এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ এখনো থামেনি।অনেক আসনেই মুখোমুখি অবস্থানে আছে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ। নৌকার পক্ষে ভোট করে অনেক নেতাকর্মী এখনো এলাকাছাড়া, এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।

একাধিক বেসরকারি সংস্থার তথ্য মতে, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় গত তিন মাসে ১৬ জন নিহত এবং প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গত মার্চ মাসে ১০টি ঘটনায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে, নিহত হন দুজন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তৃণমূলে কোন্দল নিরসনে দলের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশের আট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সেখানে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি, জামায়াতসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করে। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে দলীয় নেতাদের প্রার্থী হওয়া উন্মুক্ত করে দেয় আওয়ামী লীগ।

এ কারণে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। রেকর্ডসংখ্যক ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও দলের মধ্যে বিরোধ বেড়েছে।

বাংলাদেশে নিত্য পণ্য বিশেষ করে খাদ্য পণ্যের দাম ক্রমবর্ধমান অথচ বিশ্ব পরিস্থিতি উল্টো, এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘খাদ্যের দাম বিশ্বে কমে, দেশে বাড়ে’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে স্বস্তিতে আছে বিশ্ববাসী। যদিও একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে প্রায় দিশেহারা ছিল বাংলাদেশের মানুষ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (এফএও) জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে ছিল।

অথচ বাংলাদেশে গত তিন বছরে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম ন্যূনতম ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এই বাড়ার চিত্র খোদ সরকারি হিসাবে। বাস্তবে তা আরও বেশি।

এফএও এর মাসিক ‘ফুড প্রাইস ইনডেক্স’ অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে থাকা খাদ্যপণ্যের মূল্য মার্চ মাসে এসে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

এতোদিন বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে এখানে কয়েক বছর ধরে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন বাড়িয়েছেন আমদানিকারকেরা। এরই ধারাবাহিকতায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন পণ্যের দাম।

প্রতিবার দাম বাড়ানোর সময় একেক অজুহাত দেখিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কখনো কোভিড, কখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আবার ডলারের দর বাড়া। তবে বাজার বিশ্লেষকেরা জানান, যতই তাঁরা যুক্তি দেখান না কেন, এখানে অতিমুনাফালোভী চক্র সক্রিয় থাকার কারণেই মূলত জিনিসপত্রের দাম এত লাগামহীন বেড়েছে।

কারণ এ সময়ে আমদানি করা পণ্যের দাম যেমন বেড়েছে, একই তালে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেড়েছে। অথচ এসব পণ্য আমদানিতে ডলার লাগেনি, জাহাজভাড়া দিতে হয়নি কিংবা যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো বাধা তৈরি হয়নি। ঈদ যাত্রার ভোগান্তি নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘ঈদযাত্রার ধকলের সঙ্গে যন্ত্রণা ‘গলাকাটা’ ভাড়া’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদযাত্রায় নানামুখী ধকলের পাশাপাশি ঘরমুখো মানুষের পকেট কাটছেন কতিপয় বাস মালিক। দূরত্ব ও বাসভেদে ১০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ভাড়াও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে।

কোনো যাত্রী পথে নেমে গেলেও বাস কোম্পানিগুলো ঠিকই সর্বশেষ গন্তব্যের ভাড়া নিচ্ছে। অসহায় যাত্রীরা এসব অনিয়ম মেনে নিতে বাধ্যও হচ্ছেন। পরিবহন মালিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ সময়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া রাখা হয়। এখন সঠিক ভাড়া রাখা হচ্ছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন গন্তব্য থেকে বাস ফেরার সময় বেশির ভাগ সিটই খালি থাকছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের কারণে ট্রিপ সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। ফলে এ ছাড়া বিকল্প নেই।

এদিকে ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, রাজধানীর বাস, লঞ্চ ও ট্রেন স্টেশনে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। শনিবারও যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন গন্তব্যে যারা ঢাকা ছেড়েছেন, তাদের গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা পার হতেই দুই থেকে চার ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট যাত্রীদের বেশ ভোগাচ্ছে। বিশেষ করে টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

পাটুরিয়া ফেরিঘাটেও যানবাহনের জট লেগেছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘মেট্রোতে যাত্রী বৃদ্ধির আগেই বসছে ভ্যাট’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই মওকুফ সুবিধা আর অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নয়। ফলে পহেলা জুলাই থেকে ভ্যাট আরোপ হতে পারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের বিষয়টি সামনে এনে মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের কথা বলছে এনবিআর। আইএমএফ বিভিন্ন খাতে করছাড় তুলে নিতে বলছে।

মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্তে গত শুক্রবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিলেন, আমি তা জানি না।’

ডিএমটিসিএল এই ভ্যাট যদি যাত্রীর ওপর না চাপায়, তাহলে তাদের বর্তমান আয় থেকেই তা দিতে হবে। অন্যদিকে ভ্যাট যাত্রীর ওপর চাপালে ভাড়া বাড়বে।

ডিএমটিসিএলের কোনো কোনো কর্মকর্তা মনে করছেন, ভ্যাট আরোপের কারণে ভাড়া বাড়ানো হলে মেট্রোরেলে যাত্রী বৃদ্ধির প্রবণতায় ভাটা পড়তে পারে। আবার ভাড়া না বাড়ালে ভ্যাট সমন্বয়ের পর মেট্রোরেলের নিজেদের আয় দিয়ে চলা কঠিন হবে।

তবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের টিকিটের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করার বিষয়টি এখনো আলোচনাধীন। তাঁরা ভ্যাট বসানোর পক্ষে না।

ব্যাংক খাত নিয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ, ঝুঁকি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুর্বল এক বা একাধিক ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূত করতে পারবে।

ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে এমনিতেই উদ্বিগ্ন ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। দুর্বলমানের সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের পর সম্প্রতি এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন এই নীতিমালার কিছু কিছু বিধান এ উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডি চাকরি হারাবেন। পরিচালকরা পাঁচ বছর অন্য কোনো ব্যাংকে পরিচালক হতে পারবেন না।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, এ বিধানের মাধ্যমে সেসব পরিচালককে একধরনের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। যাদের কারণে ব্যাংক খারাপ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাঁচ বছর বিরতির পর তাদের আবার পর্ষদে ফেরার বন্দোবস্ত রাখা হল।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি মেনে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দরকার। এক্ষেত্রে জোরপূর্বক একীভূতকরণ না করার কথা বলেছে সংস্থাটি। ব্যাংক খাতের অনিয়ম নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘সুশাসনের অভাবই সমস্যা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ ও তারল্য সংকটের কারণেই মূলত দেশের ব্যাংক খাতে এক ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে-এমন মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

ব্যাংকের সম্পদ থেকে আয় কমে গেছে। এটা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তারা। তবে কাগুজে সুদ আয় করে আয় বাড়ালে হবে না। তারা মূলত কার্যকরভাবে টাকা আদায় করে আয় বাড়ানোর কথা বলছেন।

সেইসাথে ব্যাংকগুলো পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনা, পরিচালকদের চাপ কমানো, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর হওয়া, গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে ব্যবস্থা নেয়া এবং খেলাপিদের ছাড় না দেয়া এমন নানা পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। এর আগে ব্যাংক জালিয়াতির যতো ঘটনা ঘটেছে যেমন: ২০১২ সালে হলমার্ক জালিয়াতি, বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতি।

ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এমডি, ডিএমডি, জিএম মিলে এসব ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুলিশের নাকের ডগায় এটি কিভাবে সম্ভব হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, যারা জালিয়াতিতে নেতৃত্বে দিল তাদের এখন পর্যন্ত কিছুই হলো না? এতে জালিয়তরা আরও উৎসাহিত হবে। এরপর আরও কয়েকটি বড় জালিয়াতি হলো।একটি ব্যাংক থেকেই ১০ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতরা নিয়ে গেল। তাদের বিরুদ্ধে কিছুই হলো না।

তিনি বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে যেসব টাকা বেরিয়ে গেল সেগুলো আর ফেরৎ আসেনি। ফলে খেলাপিতে পরিণত হলো। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে বড় জালিয়াতদের কারণে।

বোরো আবাদে সংকট নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Boro farming faces setback due to frequent power cuts’ অর্থাৎ, ‘বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপর্যয়ের মুখে বোরো আবাদ’ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পানি সংকট দেখা দেয়ায় সেচের ওপর নির্ভরশীল ফসল বোরোর চাষাবাদ বড় ধরণের সংকটের মুখে পড়েছে।

প্রায় ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয় এবং ৪৫ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি হয় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে সেচ দেয়ার মাধ্যমে। যার জন্য প্রয়োজন হয় বিদ্যুতের। এই বছর, বোরো চাষিরা তাদের চারা বৃদ্ধিতে বাধার সম্মুখীন হন যখন স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রায় দেশের কিছু অংশে বৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়েছে।

সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য পাম্প চালানোর মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না থাকায় উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বোরো ক্ষেতে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে।

শনিবার, দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে এবং এমনকি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশের তাপমাত্রা এর চেয়েও বেশি।

অথচ ওইসব অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বোরো উৎপাদন করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির অভাব অবশ্যই বোরো উৎপাদনকে কমিয়ে দেবে। যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। কারণ প্রায় তিন বছর ধরে চলতে থাকা ডলারের তীব্র সংকটের কারণে দেশের আমদানি সক্ষমতা অতীতের যেকোনো সংকট সময়ের তুলনায় বেশি সীমিত।

বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় ৯০ শতাংশ বাড়বে চলতি অর্থবছরে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ কেনায় ব্যয় বাড়তে যাচ্ছে সরকারের। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিতের চেয়ে আমদানি করা বিদ্যুতে খরচ তুলনামূলক কম। তাই অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বিদ্যুতের আমদানি বাড়াচ্ছে সরকার। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশের মোট বিদ্যুৎ সরবরাহের ১২ শতাংশই করা হচ্ছে আমদানির মাধ্যমে। দেশে আমদানীকৃত বিদ্যুতের পুরোটাই আসছে প্রতিবেশী ভারত থেকে। দেশটির সরকারি ও বেসরকারি—উভয় উৎস থেকেই এ বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। বিদ্যুতের দামের তুলনা করলে বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম সবচেয়ে কম। এতে অর্থ সাশ্রয় হয়।

সরকারের নীতি হচ্ছে আমাদের যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে তার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করা যাবে। আমদানির ওপর যাতে পুরোপুরি নির্ভরশীলতা তৈরি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিক নানা ঘটনা নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘অপরাধ-অসহিষ্ণুতা বাড়ছে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রমজান মাসেও দেশে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পাশাপাশি সামাজিক অসহিষ্ণুতার কারণে হত্যা-সংঘর্ষের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীসহ ছয়জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় বিরোধ নিয়ে কয়েক স্থানে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জন নিহত ও কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।

এর মধ্যে বগুড়ার কাহালুতে তারাবিহর নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক দাখিল পরীক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা তুষারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে একজনকে হত্যা ও গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় দু’জন।

গাজীপুরের পাঁচপীর মাজারসংলগ্ন বাগান থেকে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নওগাঁর মহাদেবপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়া ছাড়াও পুলিশসহ আহত হয়েছে ১৫ জন। লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নাটোরের লালপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে একজন, আহত হন সাতজন। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মসজিদে নামাজের মাসাআলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন