খাগড়াছড়িতে আ.লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষে ঘটনায় এখনো থমথমে অবস্থা

fec-image

খাগড়াছড়িতে আ.লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষে ঘটনায় এখনো খাগড়াছড়িতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৬/৭শত জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। তবে বিএনপির থানায় মামলা দায়ের করলেও আওয়ামী লীগ এরপক্ষ থেকে এখনো কোন মামলা করা হয়নি ।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এ ঘটনায় পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫ জনকে আটক করেছে। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে আজও আওয়ামী লীগ শহরের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। অপর দিকে বিএনপির করেছে সাংবাদিক সম্মেলন।

গতকালের সংঘর্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ খাগড়াছড়ি শহরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশ থেকে ঘটনার সাথে জড়িত বিএনপির সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানান।

অপর দিকে বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বিএনপি খাগড়াছড়ি শহরের জেলা বিএনপির সভাপতির বাসভবন “বৈঠকে” আয়োজন করে এক সংবাদ সম্মেলনের । সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংস্দ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া অভিযোগ করেন গতকাল বিএনপির শান্তিপূর্ণ “পদযাত্রা কর্মসূচী” পালন প্রাক্ককালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

এ সময় সন্ত্রাসীদের বিক্ষিপ্ত হামলায় বিএনপির ১৭০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আশংকাজনক ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় আওয়ামী লীগের ১৭৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ২৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানান,ওয়াদুদ ভূইয়া।

তিনি সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ফের খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে স্মৃতি ভাস্কর্য ভাংচুরের অভিযোগ করেন। নেতা কর্মীদের উপর হামলা বন্ধ না হলে জেলায় হরতাল অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিএনপির।

এদিকে পুলিশের নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নিরহ মানুষকে হয়রানি ও গ্রেফতার বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্দ সাধারন মানুষ। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের নিরব ভূমিকা ও সংঘর্ষ শেষে পুলিশ এনজিও কর্মী, স্কুল ছাত্র, কাঠ মিস্ত্রিসহ নিরহ ১৫ জন লোককে গ্রেফতার করে আদালতে চালান করে।

তবে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই মোহাম্মদ মিনহাজ বাদী হয়ে ১৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৬/৭ শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আওয়ামী লীগ- বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি, সাংবাদিক, পুলিশ ও পথচারীসহ অর্ধশতাধি ব্যক্তি আহত হয়েছে । এর মধ্যে আশঙ্কাজনক ৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন