খাগড়াছড়ির দুই’শ পরিবারের মানুষ গৃহহারা
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
খাগড়াছড়িতে টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণে রামগড়-ফেনী সড়কের কালাপানি ব্রীজ ভেঙ্গে খাগড়াছড়ির সাথে ফেনী ও ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। রামগড়ের ফেনী নদী ও খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার থেকে থেমে থেমে টানা প্রবল বর্ষনে খাগড়াছড়ির জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বৃহম্পতিবার সকালে হঠাৎ করে উজানের পাহাড়ি ঢলের পানি খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীতে ব্যাপকহারে প্রবাহিত হওয়ায় চেঙ্গী নদীর পাশ্ববর্তী এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। সদর উপজেলার মেহেদীবাগ, মুসলিমপাড়ার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বর্তমানে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকে নিজেদের ঘর বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
মানিকছড়ির গাড়ীটানায় বেইলী সেতু ডুবে যাওয়ায় কিছু সময় খাগড়াছড়ির সাথে চট্টগ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রামগড়ের বনবিথী এলাকায় ডাইভারসন রোড (বিকল্প রাস্তা) ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে বুধবার বিকাল থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
রামগড়-করেরহাটের ভাংগাটাবর ব্রিজটি পাহাড়ী ঢলে নেমে আসা পানিতে ঢেবে গেছে। অন্যদিকে রাঙ্গাপানি এলাকায় পাহাড় ধ্বসের কারণে মানিকছড়ি-লক্ষীছড়ি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ, যানবাহন মালিক সমিতি ও স্থানীয় সুত্রে এ খবর জানাগেছে।
বিচ্ছিন্ন সড়ক ব্যবস্থার কারণে গতকাল থেকে ঢাকা-খাগড়াছড়ির সড়কে নৈশ কোচ বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের পক্ষ বিষয়টি নিশ্চত করা হয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ির ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা মেহেদীবাগ, মুসলিমপাড়া পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের পৌর সভার পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন।
মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শওকত ওসমান জানান, মানিকছড়ি-লক্ষীছড়ি সড়কের রাঙ্গাপানি এলাকায় পাহাড় ধ্বসে সড়ক যোগাযোগ এবং ১১কেভি সরবরাহ লাইনের খুটি ধ্বসে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।