খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব নির্বাচনে তিন সাংবাদিকের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ এনে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের নির্বাচনে ৩টি পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সিনিয়র তিন সাংবাদিক। সভাপতি নির্বাহী সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ছিলেন তারা

সূত্র জানায়, বুধবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের কাছে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আগামী মার্চ প্রেসক্লাবের নির্বাচনে কোন পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলো না

সভাপতি পদে মনোননয়ন প্রত্যাহার করেন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আজম, নির্বাহী সদস্য পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল জসীম উদ্দীন মজুমদার গত ১৬ ফেব্রয়ারি খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়

নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে নুরুল আজম জানান, নির্বাচনের আগেই সকল পদে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এটি প্রহসন ও নীল নকশার নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই নয়। সেটা বুঝতে পেরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে নেতৃত্ব দূর্বল করতে সাংবাদিকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টির জন্য এধরনের নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অপর প্রার্থী সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল বলেন, নির্বাচন প্রহসনের ও পাতানো নির্বাচন তাই প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে সরে দাঁড়িয়েছি

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি ও আগামী নির্বাচনের একমাত্র সভাপতি প্রার্থি জিতেন বড়ুয়া বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। আমরাও প্রার্থী, যারা অভিযোগ করেছেন তারাও প্রার্থী ছিলেন।কোন সমস্যা থাকলে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করতেই পারেন। এব্যাপারে আমাদের করার কিছু নেই।

খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক অনলাইন মিড়িয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের দাবি প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হোক খাগড়াছড়িতে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে। কেননা অনেক সাংবাদিক দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত থেকেও সিন্ডিকেটের কারণে প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার অনেক সাংবাদিক পেশায় না থেকেও প্রেসক্লাবের সদস্য হয়ে সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন

খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা জেলা সমবায় কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন রুমি জানান, প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। বর্তমানে কোন প্রার্থী নেই। তবে প্রহসন নীল নকশার নির্বাচনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এটি প্রেসক্লাবের সদস্যদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন