গরমে সুস্থ রাখতে শিশুর যত্ন

18741914_216037825578253_1677746214_n copy

ডেস্ক রিপোর্ট:

এ গ্রীষ্মে অন্যান্যবারের চেয়ে তাপ ও গরম অনেক বেশি এবং একাধারে বেশ কিছুদিন যাবত দাবদাহ হয়ে চলেছে। প্রচণ্ড গরম ও গ্রীষ্মের এ দাবদাহে শিশুরা সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ আবহাওয়ায় শিশুদের অধিক যত্ন নিতে হবে। পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের মতো জটিল সমস্যা থেকে রক্ষা করতে হবে কোমল শিশুদের।

এ বিষয়ে অভিভাবকদের যা করণীয়:

খেলাধূলা ও অতিরিক্ত নড়াচড়া করার ফলে শিশুরা বেশি ঘামে । সেজন্য তাদের শরীর দ্রুত পানি হারায় এবং সহজেই পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। শিশু পানিশূন্যতায় ভুগছে তা বুঝা যাবে কতগুলো বিষয় খেয়াল করলে। যেমন, জিব ও ঠোঁট শুকিয়ে গেলে, চোখ গর্তে ঢুকে গেলে, ত্বকে খসখসে ভাব দেখা গেলেই বুঝতে হবে শিশু পানিশূণ্যতায় আক্রান্ত। শিশুর যথেষ্ট প্রস্রাব হচ্ছে কি না, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে বা রং গাঢ় হলেও বুঝতে হবে, সে পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়েছে। পিপাসা লাগার আগেই শিশুকে নিয়মিত বিরতিতে পানি পান করান। ডাবের পানি, ফলের রসও দিতে পারেন। স্কুলে শিশু যথেষ্ট পানি পান করছে কি না খেয়াল রাখুন। বোতল বা ফ্লাস্কে ভরে পানি দিয়ে দিন এবং নিয়মিত পানি খেতে উৎসাহিত করুন।

খুব গরমে বেশি ঘেমে গেলে শরীর পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণও হারায়। তখন হাত-পায়ের বা পেটের মাংসপেশিতে ব্যথা হয় বা কামড়ায়। তা ছাড়া মাথা ঘোরে, ঝিমঝিম করে, বমির ভাব হয় বা চেতনা কমে যায়। এগুলো হিট এক্সোসনের লক্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে শিশুকে দ্রুত ঠাণ্ডা বাতাসের মধ্যে নিতে হবে এবং তাকে পানি ও স্যালাইন পান করাতে হবে।

শিশুদের ত্বকের পরিধি কম থাকাতে তাপ বিকিরণের পদ্ধতিও কম সক্রিয়। তাই তারা সহজেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ঘাম শুকিয়ে যায়, শিশু উল্টাপাল্টা বলে বা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় তার জামাকাপড় খুলে দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাসে নিতে হবে, ঠাণ্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে গা মুছে দিতে হবে। পানি মুখে পান করতে না পারলে শিরায় স্যালাইন দিতে হতে পারে।

এ গরমে দুপুরের রোদে শিশুদের একেবারেই বাইরে খেলতে দেবেন না। রোদ পরে গেলে বিকেলে খেলতে পারে। তবে খেলার মাঝে মাঝে রেস্ট নিতে হবে এবং একটু পর পর পানি পান করতে হবে। হালকা জামাকাপড় পরে থাকতে হবে। খেলা শেষে ঘরে ফিরে এলে সাথে সাথে ঘামে ভেজা জামা পাল্টে দিতে হবে। নিয়মিত প্রতিদিন গোসল করাতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন