গুইমারায় ক্লিন ইমেজের মেমং-ইউসুফকে টেক্কা দিতে মরিয়া উশেপ্রু মারমা

 

Guimara Election NEWS Pic copy

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা :

যাচাই-বাছাই আর প্রতীক বরাদ্ধের পর টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পার্বত্য খাগড়াছড়ির নবসৃষ্ট গুইমারা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মূখর গুইমারার দুর্গম পাহাড়ি জনপদ। গুইমারা উপজেলা প্রথম নির্বাচনে জয়ের স্বাধ পেতে মরিয়া চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৯ প্রার্থী। ভোটারদের পক্ষে টানতে যে যার মতো করে ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

গুইমারা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে দুই প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দুই তরুন নেতা মেমং মারমা ও মো. ইউসুফ। এ দু’নেতার মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শে ভিন্নতা থাকলেও রাজনীতির মাঠে তারা দুজনই ক্লিন ইমেজের অধিকারী। ভোটার মহলের কাছে রয়েছে দুজনেরই পরিচিতি। দলে দুজনেরই গ্রহণযোগ্য সমানে সমান। জনসম্পৃক্ততা আর ক্লিন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে তৎপর এ দু’তরুন নেতা।

ভোটের মাঠে জয়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মেমং মারমা তার দুই সহযোদ্ধাকে নিয়ে আবার কখনো কখনো যে যার মতো ভোটারদের কাছে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. ইউসুফ তার দুই সহযোদ্ধাসহ ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন দিবানিশি। বসে নেই আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরাও। সবাই ছুটছেন দলীয় প্রার্থীর জয়ের লক্ষকে সামনে রেখে।

অন্যদিকে ক্লিন ইমজের মেমং-ইউসুফকে টেক্কা দিয়ে গুইমারা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে থাকা হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান উশেপ্রু মারমা। নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন এ প্রার্থী। গেল হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন এমনটাই মনে করছেন গুইমারার সচেতন ভোটার মহল।

গুইমারা উপজেলার দুই তৃতীয়াংশ উপজাতীয় ভোটারকে টার্গেট করে ইউপিডিএফ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী উশেপ্রু মারমা ভোটের ময়দান চষে বেড়ালেও জয়ের দেখা পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই শিবিরে বিভক্ত ভোটারদের পক্ষে টানা তার পক্ষে অনেকটাই কষ্টকর হবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন গুইমারার সচেতন ভোটাররা। তাদের মতে সাধারণ ভোটাররা ক্লিন ইমজের মেমং-ইউসুফের বাইরে বিকল্প ভাবতে চায়না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগের মেমং মারমা বলেন, বিগত দিনের উন্নয়ন আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত রাখতেই নৌকার পক্ষে রায় দিবে। নৌকায় ভোট দিয়ে সূচিত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। অন্যদিকে বিএনপির মো. ইউসুফ রায়ের ভার জনগণের উপর ছেড়ে দিয়ে বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এখন জনদাবি। জনদাবির সমর্থন থেকেই জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দিবে।

নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ইউপিডিএফ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী উশেপ্রু মারমা বলেন, গুইমারার সাধারণ জনগণ বিকল্প খুঁজছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণই তাদের যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটাররা ভুল করবেনা বলেও মনে করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন