ঘুমধুমে দেড়কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের একটি প্যারাবন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেড়কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সীমান্ত রক্ষী ১১ বিজিবি এ অভিযান পরিচালনা করেন। বিজিবি-চোরাকারবারী পাল্টাপাল্টি গুলিবিমিময় হয়। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বিজিবি জানান, ঘুমধুম বিওপির সদস্যগণ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার থেকে ঘুমধুম নয়াপাড়া প্যারাবন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এ সংবাদের ভিত্তিতে ঘুমধুম বিওপির একটি চৌকস টহলদল কাস্টমস মোড়ে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে ফাঁদ পেতে থাকে। পরবর্তীতে আনুমানিক রাত ৯ টায় কতিপয় ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবনের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করতে থাকে।
এমতাবস্থায় টহলদল কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে তাদের জান-মাল, অস্ত্র-গোলাবারুদ এবং সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে চোরাকারীরদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা ইয়াবা ভর্তি ব্যাগ মাটিতে ফেলে দ্রুত পাহাড়ী গহীন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস এর মহামারির মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে । এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ( ১৬ নভেম্বর) ৩৪ বিজিবি এর অধীনস্থ চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশী করে আনুমানিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস বার্মিজ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য-১,৫০,০০,০০০/- (এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা।
তিনি আনো বলেন, এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩৪ বিজিবি এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ঘুধধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে গত ১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি টহলদল কর্তৃক ১২৫,২৭,৮২,৬০০/- (একশত পঁচিশ কোটি সাতাশ লক্ষ বিরাশি হাজার ছয়শত) টাকা মূল্যের ৪১,৭৫,৯৪২ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ ১৯৫ জন আসামী আটক করে।
