চকরিয়ায় গাছ কেটে প্রবাসীর জমি দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি

fec-image

কক্সবাজার চকরিয়ায় দিনদুপুরে এক প্রবাসীর বসতভিটার গাছ কেটে জমি জবর-দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খনজ্জনীঘোনা এলাকার মৃত হাজ্বী আবুল শরীফের তিনছেলে ও পাঁচ কন্যা সন্তান রয়েছে। তৎমধ্যে হাজ্বী আবুল শরীফের ছোট মেয়ে নুরুন্নাহার বেগম পৈত্রিক ভাবে প্রাপ্ত ১৫ শতক জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে কুমারখালী এলাকায় দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে। ওই ভোগদখলীয় জায়গায় বর্তমানে তার ছেলে প্রবাসী জয়নাল আবেদীন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করছে। তাদের বসতভিটায় রবিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে নুরুন্নাহারের ভাই নজরুল ইসলামের ছেলে আবুল বশর, শফিউল বশর ও তাদের সন্তানদের নেতৃত্বে নুরুন্নাহার বেগমের পৈত্রিক জায়গায় বসতভিটার ৬টি গাছ কেটে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে জিম্মি করে জবর দখলের চেষ্টা চালায়।

রবিবার (৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুমিরখালী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। এতে বাঁধা দিতে গেলে নুরুন্নাহারের পুত্রবধূ (প্রবাসী জয়নালের স্ত্রী) বুলবুল জন্নাতকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রদিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিলে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। পরে নুরুন্নাহারের ভাতিজা আবুল বশর, শফিউল বশর ও তাদের ছেলেরা বসতভিটার চলাচল পথে বাঁধা সৃষ্টিতে ব্যারিকেড দেন। ঘটনাটি বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি দ্রুত ২নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইদ্রিস আহমদকে বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করার নির্দেশনা দেন। এনিয়ে ভুক্তভোগী নুরুন্নাহার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানায়। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে স্থানীয় মেম্বার ইদ্রিস আহমদকে পাঠানো হয়। বর্তমানে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে পরিষদে সালিশি অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চকরিয়া, জমি দখল, প্রাণনাশের হুমকি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন