ছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

fec-image

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেম করে ছাত্রকে বিয়ে করা নাটোরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্র মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্বার করা হয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কলেজশিক্ষিকার ভাড়াবাড়ির বাসিন্দারা বলেছেন, মামুন রবিবার ভোরে তাদেরকে জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। পরে লোকজন তার বাসায় গিয়ে মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাদের সন্দেহ হওয়ায় মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে তারা পুলিশে খবর দেন।

মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান নাটোর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষে ও মরদেহের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহারের প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে সে সংসার বেশিদিন টেকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। ছয় মাস প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা।

মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন খাইরুন। একবার আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন।

এই বিয়ে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও শিক্ষিকার পরিবার মেনে নেয়নি। সামাজিকভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্য করলেও সেসব তোয়াক্কা না করে নতুন সংসারে সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু মাত্র ছয় মাসের ‘সুখের সংসারের পর আজ লাশ উদ্ধার হলো শিক্ষিকার।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্র, বিয়ে, লাশ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন