‘ছেলেধরা’ অপবাদে বৃদ্ধা নারীকে নির্যাতন: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি
পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা গ্রামে গত ১৬ এপ্রিল ‘ছেলেধরা’ অপবাদ দিয়ে বৃদ্ধা নারী কালা ভূতি (৫৫) এর উপর অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল রাতে পেকুয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার কালা ভূতির ভাই কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাজী মফজল মিয়া পাড়া গ্রামের ছদর আহমদের পুত্র জয়নাল আবেদীন। যার মামলা নং ১২।

আর মামলাটি তদন্ত করছেন পেকুয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই শফিকুর রহমান। মামলার আসামীরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা গ্রামের আবদুন নুরের পুত্র নাজিম উদ্দিন (৩০), একই ইউনিয়নের বারাইয়াকা গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের পুত্র ও পেকুয়া উপজেলা বিআরডিবি অফিসের মাঠ পরিদর্শক আবদুল জব্বার (৩৩), আলমগীরের পুত্র শাহাব উদ্দিন (২২), রাজাখালী বামুলা পাড়া গ্রামের মৃত বজল আহমদের পুত্র আবুল কাসেম (৩৩), নুরুচ্ছবির পুত্র আনসার (৩৩), বারাইয়াকাটা গ্রামের কালু মিয়ার পুত্র বদিউল আলম (৩৫), নুরুল হোসেনের পুত্র নাছির উদ্দিন (২৮), রাজাখালী বামুলা পাড়া গ্রামের মহি উদ্দিনের পুত্র নুরুচ্ছবি (২৭), বারাইয়াকাটা গ্রামের আহমদ হোসেনের পুত্র নুরুল আবচার (২৮), আউয়ুব আলীর পুত্র রেজাউল করিম (২৬)সহ আরো ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে।

মামলার বাদী জয়নাল আবেদীন এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ এপ্রিল সকালে তার মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে মামলার আসামীরাসহ আরো অজ্ঞাতনামা লোকজন ছেলেধরা অপবাদ দিয়ে পরনের কাপড়-ছোপড় খুলে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তার বোন আগের দিন ১৫ এপ্রিল সকালে তাদের বাড়ী থেকে বের হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পায়ে হেটে বারাবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা গ্রামের রাস্তায় মাথায় পৌছালে মামলার আসামীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে।

মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন, তার বোনের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত মূলহোতা পেকুয়া উপজেলা বিআরডিবি অফিসের পরিদর্শক আবদুল জব্বারের নেতৃত্বে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ পার হলেও এ মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলাটি তিনি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছেন আর আসামীদের গ্রেফতার করতে তিনি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন