ছেলেধরা গুজব নিয়ে চকরিয়া পুলিশের সচেতনতামূলক প্রচারণা
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো.মতিউল ইসলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগেুলোতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণায় বলেছেন, পদ্মা সেতুর নাম দিয়ে দেশকে নিয়ে নতুন করে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মিথ্যা গুজবে ছেলে ধরা বলে দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। রেণু’র মতো একজন উচ্চ শিক্ষিত মহিলাকে ছেলে ধরা নাম দিয়ে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরণে কোন মা-বোন ও ভাইয়েরা যেন গুজবের শিকার হতে না হয় তার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি ছেলে-মেয়েদেরকে সজাগ করতে হবে । যাতে তারা কোন ধরণের গুজবে কান না দেয়।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার খুটাখালী কিশলয় আর্দশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে গুজব নিয়ে জনসচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরনমুলক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক এসএম জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র শিক্ষক ঈদি আমিন চৌধুরী, আকবর হোসাইন খোকন, মাওলানা নুরুল ইসলাম, সিদুল শর্মা, আমিরুল কবির ইমন, জয়নাব বাহার, এহছানুল কবির, আজিজুর রহমান, রিদুয়ানুল হক প্রমুখ।
কাজী মো.মতিউল ইসলাম বলেন, পদ্মাসেতু করতে নাকি বাচ্চাদের মাথা লাগবে। পদ্মা সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে শিবচর ও জাজিরায়। এই এলাকায় এই ধরনের কি কোন ঘটনা আছে? নাই। তাহলে এই ধরনের কোন ঘটনা কেন অন্য এলাকায় ঘটবে? সত্যিই বলতে এইগুলো কিছুই না। মিথ্যা গুজব ছাড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। এটা দেশকে নিয়ে মূলত চক্রান্ত।
তিনি এলাকার প্রতিটি মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করার আহ্বান জানান। স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ছেলেধরা আতঙ্কে আমরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। তবে এটা যে গুজব ছিল তা আজ পুলিশের কথায় আমরা আশ্বস্ত হতে পেরেছি।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিথ্যা গুজব রটিয়ে পুরো দেশটাকে আজ স্তম্ভিত করে ফেলেছে। এ গুজব থেকে বের হয়ে আসতে দেশের প্রতিটি মানুষকে যার যার কর্মকাণ্ড ও অবস্থান থেকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কোন ব্যক্তিকে যেন ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি না দেয়। তার জন্য দেশে আইন রয়েছে। কেন মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নেবে। গণপিটুনি বন্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামুলক পোষ্টার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত টহল বাড়ানো হয়েছে। থানার অফিসার, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সুধীসমাজ ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যদের সাথে নিয়ে গুজব প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বেশকটি আলোচনা করা হয়। এলাকায় কোথাও কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে তাকে মারধর না করে পুলিশের হাতে বা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে।