জেডিসি পরীক্ষা দেয়া হলো না ফাতেমার

বাল্য বিবাহ

মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :

অনেক স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলেও এবারের জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা দেয়া হলো না মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী ফাতেমা আকতারের। মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কারো ভুলে নয়, বাল্য বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার কারণেই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি এ ক্ষুদে শিক্ষার্থী।

জানা যায়, পরীক্ষার প্রবেশ পত্র বিতরণকালে সকল ছাত্র-ছাত্রী প্রবেশপত্র গ্রহণ করলেও ফাতেমা আকতার প্রবেশপত্র গ্রহণ না করায় বিষয়টি জানাজানি হয়। এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী মো. সলিম উল্যাহ শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে তার অবিভাবকসহ স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন আগামী ৫জানুয়ারী ফাতেমার বিয়ের দিন চুড়ান্ত হয়েছে। তাই হবু স্বামীর ইচ্ছাতেই তার আর পরীক্ষা দেয়া হবে না। এ বিষয়ে একাধিকবার ছাত্রীটির অভিভাবকের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও ব্যর্থ হন বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।

এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাটিরাঙ্গা দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক মাও. মো. মজিবুর রহমানের সাথে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাইল্যাছড়ি গ্রামের মো. আবুল কাশেমের মেয়ে ফাতেমা আকতারের সাথে আগামী ৫জানুয়ারী বিয়ের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত হয়। আর বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ার ফলেই হবু স্ত্রীর পরীক্ষা দেয়ায় আপত্তি করেন বর মাও মো. মজিবুর রহমান।

বাল্য বিয়ের শিকার ফাতেমা আকতারের হবু বরের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী মো. সলিম উল্যাহ বলেন, একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের জীবন নষ্ট করার অধিকার তাকে (মাও. মো. মজিবুর রহমান) কে দিয়েছে ? তিনি এ ধরণের আইন বিরোধী বিয়ে বন্ধসহ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।

এদিকে ফাতেমা আকতারের হবু বর মাও. মো. মজিবুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন